• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

ভিনদেশ

বিহারে ২০১৭ সালে ৩৪০৫ জন ছেলেকে অপহরণ করে বিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিহারে ২০১৭ সালে ৩৪০৫ জন ছেলেকে অপহরণ করে বিয়ে

হিসেব বলছে বিহারে ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৪০৫ জন যুবককে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করানো হয়েছে। কেন এমনভাবে পাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়? এই সম্পর্কে জানতে গিয়ে একটি ভারতের সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। পড়ুন রিপোর্টটি-

প্রেম করে বিয়ে, সম্বন্ধ দেখে বিয়ে, পালিয়ে বিয়ে, অসমবয়সী বিয়ে- এমন নানা বিয়ের কথা শুনে বা দেখে থাকবেন। কিন্তু পাকাদুয়া বিয়ের কথা শুনেছেন? বিহারে এ ধরনের বিয়ে কিছু কিছু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হয়।

কেমন এই পাকাদুয়া বিয়ে?
বিহারে এখনও পণ প্রথার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ভালো পাত্রের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে গেলে পণের অঙ্ক শুনলে অনেকেই ভিরমি খাবেন। তাই পণ ছাড়াই বিয়ে দিতে ভাল পাত্রের খোঁজ পেলে মেয়ের অভিভাবকরা তাকে বা তার বাবা-মাকে বন্দুক দেখিয়ে বা অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। এটাই পাকাদুয়া বিয়ে।

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই সংখ্যাটা ৩ হাজারের আশপাশেই ঘোরাফেরা করেছে। বিয়ের মরশুমে প্রতি দিন গড়ে ৯টি পাকাদুয়া বিয়ে হয় বিহার রাজ্যে। এ বছর বিয়ের মরশুম শুরু হওয়ার মুখেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।

সম্প্রতি এক ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে তুলে নিয়ে বন্দুক দেখিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বউ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে তিনি স্ত্রীকে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় হয়। আর প্রশাসনও একটু নড়েচড়ে বসে।

দীর্ঘদিন ধরে এই কু-প্রথার বিরুদ্ধে কাজ করছেন মহেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, ‘পাকাদুয়া বিহারে নতুন কিছু নয়। পুলিশ-প্রশাসন সকলেই সব জানেন। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে।’

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি, ভারতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি যুবকদের অপহরণের ক্ষেত্রে বিহার রাজ্য এক নম্বরে। অনেক সময় দেখা যায়, ভাল পাত্র অপহরণের জন্য অপরাধীদের মোটা টাকায় ভাড়া করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮

মন্তব্য করুন: