• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

জীবন-যাপন

কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই বাতের ব্যথা পালাবে!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৭:১৮, ৮ মে ২০১৮

কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই বাতের ব্যথা পালাবে!

বাতের ব্যথা। সাধারনত শরীরের হাড়ের জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এই রোগ হয়ে থাকে। বয়স হলে কিংবা বংশগত ভাবেও বাতের ব্যথা হয়।

বাতের ব্যথা সারাতে নানা ধরনের এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু এই ব্যথা বেড়ে গেলে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। আমরা আজ আপনাকে দিচ্ছি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। এগুলো ট্রাই করলে আপনি ঘরে বসেই ব্যথা থেকে উপশম পেতে পারেন।

আদা চা: ব্যথা তীব্র হলে পানিতে আদা কুচি, চা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই চা পান করুন। দুধ দিয়েও আদা চা করে খেতে পারেন। সাময়িক ভাবে ব্যথার থেকে রেহাই পাবেন। এ ক্ষেত্রে জিনজার টি-ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।

জাঙ্ক ফুডে না: যে কোনও রকম জাঙ্ক ফুড বা ভাজিভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন। সম্প্রতি এক সুইডিস গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা মশলাদার খাবার ছেড়ে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি, ফলমূল, মাছ, অলিভ অয়েল খান, তাদের বাত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম।

ঘরোয়া মিশ্রণ: ব্যথা কমাতে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন একটা সহজ মিশ্রণ। কয়েক চামচ মরিচের গুড়ার সঙ্গে ২-৩ চামচ অলিভ অয়েল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এটা অনেক প্রাচীন দেশজ পদ্ধতি। এই মিশ্রণ লাগানোর পর প্রথমে খুব জ্বালা হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা অনেক কমে যাবে। 

বাসন-কোসন ধোয়া: হাতে ব্যথা থাকলে আজ থেকেই নিজের হাতে বাসন ধুতে শুরু করুন। এই পদ্ধতিতে আপনার হাতের ব্যায়াম হবে। আরও ভাল হয় যদি, উষ্ণ গরম পানিতে এই কাজ করেন। এতে হাতের জড়তা কেটে যাবে।

গরম-ঠাণ্ডা পানির থেরাপি: এক পাত্রে বরফ দেওয়া ঠাণ্ডা পানি ও অন্য পাত্রে গরম পানি নিয়ে প্রথমে ঠাণ্ডা পানিতে ১ মিনিট ব্যথার জায়গা ডুবিয়ে রাখুন। পরে গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড। এইভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এই প্রক্রিয়া চালান। দ্রুত বাতের ব্যথা কমাতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী।

সাঁতার কাটুন: বাতের ব্যথায় সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম সাঁতার। পানির মধ্যে ভারশূন্যতা পেশীর চাপ কমিয়ে দেয়। তাইওয়ানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাঁতার হাঁটু এবং নিতম্বের জোর বাড়ায়। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্যথা অনেক কমিয়ে দেয়।

গ্রিন টি: যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে চার কাপ গ্রিন টি বাতের ব্যথা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। চায়ের মধ্যে রয়েছে, পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ব্যথা ও পেশি বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস কমাতে সাহায্য করে।

ভিটামিন-সি: পেশির ব্যথা কমাতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খান। কমলালেবু, আঙুরে প্রচুর ভিটামিন-সি রয়েছে। ভিটামিন-সি প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে, যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: রুই, টুনা, স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির শক্তি বাড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণ টাটকা মাছ রাখুন। এতে পেশি ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমবে।

বাদাম: আখরোট, পেস্তা, আমন্ড বাদামে রয়েছে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-ই ও ফাইবার। অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস কমাতে বাদাম খুব উপকারি।

খালি পায়ে হাঁটা: শিকাগোর রাস ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সেন্টারের প্রকাশিত একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় দেখা গেছে ৭৫ শতাংশ মানুষ অস্টিওআর্থারাইটিসে ভোগেন। বাত এবং পেশির ব্যথা কমানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো খালি পায়ে হাঁটুন। এতে ব্যথা প্রায় ১২ শতাংশ কমে যাবে। #

মন্তব্য করুন: