কুমিল্লা ও কক্সবাজারে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুইজন নিহত

ঢাকা: কুমিল্লা ও কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের দুইজন-ই ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বুড়িচংয়ের পশ্চিমসিংয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সদস্য মাজহারুল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জন।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় ডাকাতদলের অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান তাঁরা। এ সময় ডাকাত দল গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাজহারুলকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযাগে চার-পাঁচটি মামলা রয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল আমিন (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। র‌্যাবের দাবি, নুরুল একজন শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা নুরালী পাড়া পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। নুরুল টেকনাফ উপজেলার লেদা নুরালী পাড়ার মৃত মকতুল হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, গোপন সংবাদে র‌্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, ৬/৭জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাতদল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা নুরালী পাড়া পাহাড়ে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে র‌্যাব। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সংবদ্ধ ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে র‌্যাবের ল্যান্সনায়েক আজহারুল ইসলাম এবং সিপাহী মো. সোহেল আহত হন। এরপর র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি থ্রি-কোয়ার্টার গান, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি তাজা কার্তুজ, ৩টি খালি খোসা, ১০০ টাকাসহ ১টি মানি ব্যাগ, ১টি মোবাইল, মিয়ানমারের ১১টি এমপিটি সিমকার্ড ও একটি দেশীয় সিমসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০