• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

বয়স্ক মানুষকে অপমান করায় মনিরামপুরের এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

সময়বিডি ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৮ মার্চ ২০২০

বয়স্ক মানুষকে অপমান করায় মনিরামপুরের এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারাদেশে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক সতর্কতা। রাস্তাঘাটে মোতায়েন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সামাজিক সংঘটনগুলো চেষ্টা করছেন সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার। এরইমধ্যে বয়স্ক নাগরিকদের কানধরে দাড়িয়ে রাখায় সমালোচিত হয়েছেন যশোর জেলার মনিরামপুরের এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান।

এ ঘটনা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সারাদেশের মানুষ ছি ছি করতে থাকে। রব উঠে সুষ্ঠ বিচারের।

অবশেষে বয়স্ক নাগরিকদের অপমান করায় যশোরের মনিরামপুরের এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানেকে প্রত্যাহার দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অফিস খোলার পর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

অন্যদিকে ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লাঞ্ছিত বয়স্ক নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে যশোরের মণিরামপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশে বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। তাদের মুখে মাস্ক ছিল না। এ সময় পুলিশ ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে সাইয়েমা হাসান শাস্তি হিসেবে তাদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। শুধু তাই নয়, এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। এছাড়া পরবর্তীতে অপর এক ভ্যান চলককে অনুরূপভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন।

শুক্রবার রাতে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন অমানবিক কর্মকান্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

এ প্রসঙ্গে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, ‘ছবিটি আমি দেখেছি। এটি তিনি করতে পারেন না। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আমাদের কাজ নয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

মার্চ ২৮, ২০২০

মন্তব্য করুন: