• ঢাকা

  •  বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বাংলাদেশ

করোনার ওষুধ রেমদেশিভির এ মাসেই বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা

সময়বিডি ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৭:২৬, ৫ মে ২০২০

করোনার ওষুধ রেমদেশিভির এ মাসেই বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমদেশিভির উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে দেশের ছয়টি ওষুধ কোম্পানি।

জানা গেছে, এদের মধ্যে এগিয়ে থাকা দুটি কোম্পানি চলতি মাসেই বাজারে আনতে যাচ্ছে এই ওষুধ।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, রেমদেশিভির কোন নতুন ওষুধ নয়। এটি ইবোলার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। করোনা সংক্রমিত রোগীদের বেলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এই ওষুধটি জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হতে পারে এমন ধারনা থেকে দেশে এই ওষুধটি উৎপাদনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এজন্য তারা উৎপাদক কোম্পানি বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা, স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে ওষুধটি তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে।

এই ছয়টি কোম্পানির মধ্যে এসকেএফ ও বেক্সিমকো রেমদেশিভির উৎপাদনে অনেকখানি এগিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

চলতি মাসের মধ্যেই দেশের দুই প্রস্তুতকারক কোম্পানি আর জুনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাকি চারটি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত রেমদেশিভির বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওই সূত্র।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমদেশিভির ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধটি পাওয়া যাবে বলে উৎপাদক কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেন ও'ডে জানিয়েছেন।

রবিবার এক ঘোষণায় ডেন বলেছেন, তারা এই সপ্তাহেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের কাছে ওষুধটি পৌঁছে দিতে চান।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর রেমদেশিভির যত দ্রুত ব্যবহার করা যায় তত বেশি এটি কার্যকর বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ওষুধ ব্যবহার করা রোগীদের সুস্থ হতে যেখানে ১৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। আর রেমডেসিভির প্রয়োগ করা রোগীরা মোটামুটি ১১দিনেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টার পাশাপাশি ভাইরাসটির ভ্যাকসিন ও কার্যকর ওষুধ তৈরিতে বিভিন্ন দেশ উঠেপড়ে লেগেছে।

বর্তমানে করোনা চিকিৎসায় বাজারে বিদ্যমান কয়েকটি পুরনো ওষুধ দিয়েই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চালিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রেমদেশিভির অন্যতম।

এদিকে বিসিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিলিয়েড দ্রুতই বিশ্বব্যাপী রোগীদের চাহিদায় এর উৎপাদন ব্যাপক হারে করবে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে ৫ লাখ চিকিৎসা কোর্স উৎপাদন করবে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ লাখ কোর্স উৎপাদন করবে। এ ছাড়া ২০২১ সালে এর চাহিদা অনুযায়ী লাখ লাখ কোর্স উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

ওষুধের দাম নির্ধারণ করা মার্কিন সংস্থা দ্য ইন্সিটিউট ফর ক্লিনিক্যাল ইকোনোমিক রিভিউ রেমদেশিভিরের ১০ দিনের কোর্সের দাম ১০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে এর দাম সাড়ে চার হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

মে ৫, ২০২০

মন্তব্য করুন: