• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

আঠারবাড়ী খাদ্যগুদামে জব্দকৃত চালগুলো আসলো কোথা থেকে?

নিজস্ব প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১০:০৮, ৩১ মে ২০২০

আঠারবাড়ী খাদ্যগুদামে জব্দকৃত চালগুলো আসলো কোথা থেকে?

নান্দাইল (ময়মনসিংহ): সম্প্রতি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী খাদ্যগুদামে প্রায় চার হাজার কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু এই চালগুলো আসলো কোথা থেকে? তা নিয়ে জনমনে জন্ম নিচ্ছে নানা রকম প্রশ্ন।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি খাদ্যগুদামে নান্দাইল এলাকার  ১০ টাকা কেজির প্রায় ৪ মে. টন চাল সরকারের আভ্যন্তরীণ বোরো মৌসুমের  চাল সংগ্রহ কর্মসূচির আওতায় জমা করায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এক অভিযান চালিয়ে সেই চাল জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঈদের পর মঙ্গলবার ( ২৬ মে ) নান্দাইল  উপজেলার গাঙ্গাইল গ্রামের  জনৈক মতি মিয়া, আঠারবাড়ীর মিলন মিয়ার  মালিকাধীন তালিকাভুক্ত মেসার্স ফরিদা রাইস মিলের মাধ্যমে চলতি বোরো মৌসুমেরে সরকারের আভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহের কর্মসূচির  আওতায় ১০ টাকা কেজির পুরানো চাল প্লাষ্টিকের বস্তায় ভর্তি করে ৭৯ বস্তা প্রায় (৪ মে. টন) চাল  গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় আঠারবাড়ী খাদ্য গুদামে জমা করেন।  

খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন গুদাম পরিদর্শন করে চাল জব্দ করেন এবং গুদামটি সিলগালা করে দেন। এরপর তিনি চুক্তিবদ্ধ মেসার্স ফরিদা  রাইসমিল কালো তালিকাভুক্ত করেন। পরবর্তীতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন  এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন খাদ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালকের বরাবর প্রেরণ করলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খাদ্যগুদাম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং গুদামের সকল স্টাফকে তাৎক্ষনিক বদলি করে দেন এবং জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে এ বিষয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।বর্তমানে কমিটি বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করছেন।

এই চাল নান্দাইলের ১০ টাকা কেজির চাল কিনা এব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সুজন সাংবাদিকদের জানান, জব্দ করা চালের বস্তায় তো নান্দাইলের নাম লিখা নেই, আর নান্দাইলের চালের মজুদ ঠিক আছে।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে জব্দকৃত চালগুলো কোথাকার জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নান্দাইলের জনৈক মতি মিয়া ফরিদা রাইস মিলের সহযোগিতায় সরকারের বোরো মৌসুমের আভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ কর্মসূচির আওতায় চালগুলো গুদামে অবৈধভাবে ঢুকিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, প্লাষ্টিকের বস্তায় ভর্তি করে ৭৯ বস্তা চাল নান্দাইল থেকে মতি মিয়া গুদামে ডুকিয়ে ছিল। আগামী শনিবার উম্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত চাল বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

এছাড়া, এ বিষয়ে বর্তমানে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) শাহ আলাউদ্দিন ও সহকারী রসায়নবিদ উত্তম কুমার। গত দু’দিন ধরে তদন্ত দল গুদামটিতে তদন্ত কাজ পরিচালনা করছেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে জানান তিনি।

মে ৩১, ২০২০

মন্তব্য করুন: