• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

ফিচার

গুজিখাঁ কেরামতি মসজিদ আগে ছিল সুলতানী আমলের দু’তলা মসজিদ

রায়হান উদ্দিন সরকার

 প্রকাশিত: ১৫:৫০, ১৮ নভেম্বর ২০২০

গুজিখাঁ কেরামতি মসজিদ আগে ছিল সুলতানী আমলের দু’তলা মসজিদ

প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ভীড় নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দোয়া-মান্নত পূরণ হয় বলে জনমনে বিশ্বাস রয়েছে। এ লক্ষ্যে মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমনকি মহিলারাও ভিড় জমায় সেখানে। তাদের জন্য রয়েছে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

প্রতি শুক্রবার হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এ মসজিদের আয় হয় কোটি টাকার উপরে। এই মসজিদ এখন গুজিখাঁ কেরামতি জামে মসজিদ নামে পরিচিত। এ গ্রামেই মধ্যযুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল তার ইতিহাসকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে। দুই-আড়াইশ বছরের পরিত্যক্ত ইমারতটির নির্মাণশৈলী দেখে স্থানীয়রা মনে করতো হুতু মোড়লের বাড়ি।
<iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="400" src="//www.youtube.com/embed/fgAQpeFfYQg" width="725"></iframe>
বর্তমান মসজিদের দক্ষিন-পশ্চিম দিকে ও কিছুটা পিছনে পাতলা ইটের সাথে চুন, সুরকির গাঁথুনি ও পলেস্তরা দিয়ে নানা কারুকার্যখচিত ভবনটি ছিল দ্বিতল ইমারত। ইমারতটির প্রবেশদ্বারের দরজা, জানালা ও বারান্দা ছিল পূর্বদিকে এবং পশ্চিম দেওয়ালে ছিল একটি মেহেরাব ও বাতি জ্বালানোর জন্য কার্নিশ। ভবনে চুনের সাথে অথবা চুনের বিকল্প ঝিনুক চুর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

সাপের ভয়ে ইমারতটির ভেতরে প্রবেশ করা হয়নি অনেক দিন। এছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি বলে জানা যায়। এ ধরণের ইমারত দেখে অনুমান করা হয় যে, প্রতাপপুরের মসজিদটির আদি গঠনশৈলী গৌরীপুর উপজেলার কেরামতি মসজিদের অনুরূপ ছিল। পাকিস্তান আমলে এই গ্রামের মৌলানা মো. ছমির উদ্দিন সাহেব ভারত থেকে কামেল পাশ করে এসে গ্রামের লোকদেরকে সংগঠিত করেন, পরিত্যক্ত ইমারতটির সম্মূখভাগ পরিস্কার করে, ওয়াল ঘেষে কয়েকটি টিন দিয়ে, একটি চালা ঘর তৈরি করে পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ কার্যক্রম শুরু করেন। এটাই ছিল মসজিদের প্রথম সংস্কার।

পরবর্তী সময়ে ইমাম মৌলানা মো. ছমির উদ্দিন সাহেব গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি ধর্মসভার আয়োজন করেন। এই ধর্মসভার প্রধান বক্তা ছিলেন মৌলনা আকবর আলী রেজভী সাহেব। সভার শুরুতেই রেজভী সাহেব খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন এবং রাতের শেষে লোকজনের উপস্থিতি ও দান খয়রাতের দিকে আগ্রহ দেখে তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন। প্রাচীনকালের ইতিহাস ও মসজিদের বিভিন্ন কেরামতি বিষয় বা ঘটনা উপলদ্ধি করে উক্ত ধর্মসভাতেই এই মসজিদের নামকরণ করা হয় গুজিখাঁ কেরামতি জামে মসজিদ।

গুজিখাঁ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়়নের অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক গ্রাম। কলতাপাড়া বাজার হতে গৌরীপুরের রাস্তায় ৪ কিলোমিটার যাওয়ার পথে দক্ষিন দিকে গুজিখাঁ কেরামতি মসজিদ অবস্থিত। গৌরীপুর উপজেলা শহর থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। তাছাড়া যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে মসজিদটি। 

এক সময় গ্রামটি একটি নদীর চর বা টেকের উপর ছিল। গুজিখা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুস সালাম বলেন, ৭ বছর আগে এ গ্রমে পুকুর খনন করার সময়ে প্রাচীনকালের নৌকার কাঠ ও বৈঠা পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে এই গ্রামের বুক জুড়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি। সমতল ভূমির উপর দিয়ে এককালে প্রবাহিত ছিল বেশকিছু নদী, যার সম্পূর্ণভাবে আজ বিলুপ্ত। ছিল বিল, জলাশয়, সবুজ মোহনীয় বন-জঙ্গল। এর মাঝেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতি।

গাজীপুরে সোহাই নদীর একটি উপনদী তাতকুড়ায় লংকা নদীর সাথে মিলিত হয়ে বোকাইনগর হয়ে সুরাইয়া এবং ভুরুঙ্গা নদীর সাথে মিলিত হয়েছিল। তখন ব্রহ্মপুত্র নদের প্রশস্ততা ছিল ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার। পাশের গ্রাম তাতকুড়া। এই গ্রামটি গৌরীপুর উপজেলা শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

এক সময়ে গ্রামটি একটি নদীর উপর অবস্থিত ছিল এবং সেখানে সাতটি ভয়ানক কুড় (গভীর খাদ বিশেষ) ছিল। যার নাম রাখা হয়েছিল সাতকুড়া গ্রাম। সেটেলমেন্টের সময়ে অর্থাৎ ১৯১০/১২ সালে সিএস (১৮৮৮-১৯৪০) ভূমি জরিপ করার সময়ে ভুলক্রমে সাতকুড়া পরিবর্তে তাতকুড়া লেখা হয়েছিল। বর্তমানে ওই নদী ও সাতটি কুড় বলতে কিছু নেই সেখানে আছে শুধু ধান ক্ষেত।

জনশ্রুতিতে জানা যায় নগাঁও ছিল মাঝিদের গাঁ। দেশ-বিদেশের বহু সওদাগর, রাজা- বাদশা, জাহাজ ও নৌকার পাল তুলে এ নদীর পথে যাতায়াত করতো। তাতকুড়ায় সাতটি কুড় পাড় হওয়ার সময়ে গুজিখাঁর মসজিদে মান্নত করে যেতো। এই থেকে বোঝা যায় যে, গুজিখাঁ কেরামতি মসজিদ আগে থেকেই রহস্যময় ও বিখ্যাত ছিলো। তাছাড়াও মসজিদের পূর্ব পাশে একটি প্রাচীনকালের পাতলা ইটের সাথে চুন, সুরকির গাঁথুনি দ্বারা তিন সিড়ির নির্মিত রওজা বা মাজার রয়েছে। পাশে রয়েছে একটি মিনারের ধ্বংসাবশেষ। এ ধরনের তিন সিড়ির চিহ্ন হিসেবে স্থাপত্যিক বৈশিষ্টগুলো সুলতান বা মুঘল স্থাপত্যশৈলীকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।

মাজারের গাত্রে কোনো শিলালিপি ছিলো না বলে জানা যায়। ফলে সঠিক নির্মাণকাল অজ্ঞাত থেকেই যায়। তবে চিকন আকৃতির ইট দেখে মনে হয় মাজারটি নির্মাণ হয়েছিল কমপক্ষে ৫০০ বা ৬০০ বছর আগে।

স্থাপত্যশিল্প একটি দেশের কিংবা জাতির কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মানব সংস্কৃতির অন্যতম দৃশ্যমান প্রতীক। এ প্রতীক বাঘা উপজেলার বাঘা মসজিদের পাশে একটি মাজারের দৃশ্যমান। এ বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়ার জন্য দু’টি সংগঠন কাজ করছে।

ইতিহাস অনুসন্ধান করলে জানা যায়, মসজিদটি মোট চারটি সংস্কার হয়েছে। প্রথম সংস্কারের কথা আগে বলা হয়েছে। মসজিদের ভিতরের দক্ষিনে পাকিস্তান আমলের কারুকার্যখচিত ছোট ভবনটি দ্বিতীয় সংস্কার। তাতে এখনো এর দেয়াল সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে আছে। স্থান বৃদ্ধির নিমিত্তে নতুন ভবন নির্মাণটি তৃতীয় সংস্কার এবং দু’তলা ভবন নির্মাণটি চতুর্থ সংস্কার।

সংস্কারের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করেছেন এই গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেম (৭০)। তিনি বলেন, মৌলানা আকবর আলী রেজভী সাহেবের ধর্মসভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালের পিছনে পরিত্যক্ত ঘরে অনেক চামচিকা দেখেছেন এবং মাঝে মাঝে ধরে খেলা করতেন। 

এ গ্রামের আরেকজন বাসিন্দা মো. আমজাদ আলী বলেন, পরিত্যক্ত ঘরে একটি বড় সাপ ওপর থেকে নীচে নেমে খাবার খেতে দেখেছেন। তাতকুড়া গ্রামের মো. হারেছ আলী বলেন, ১৯৬৮ সালে কেরামতি মসজিদে নামাজ পড়তে তিনি এসেছিলেন। তিনি আরও বলেন, মসজিদের সামনে অর্থাৎ পূর্ব দিকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা অবস্থা চিকন ও পাতলা ইটের তিন সিঁড়ি বিশিষ্ট্য একটা রওজা দেখেছিলেন। এটা কার রওজা কেউ বলতে পারতো না। অনেকে ধারণা করতেন, এখানে কোন পীর বা আউলিয়া শায়িত আছেন। 

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে মসজিদের মুসুল্লি অধিকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জায়গার সংকুলান হচ্ছে  না। মহিলাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেরামতি মসজিদে অনেক মহিলা নামাজ পড়তে আসে। মসজিদের পাশে জমি ক্রয় করে মহিলাদের জন্য একটি ভিন্ন দু’তলা ইমারত নির্মাণ করা একান্ত জরুরী। ফলে মহিলাদের উপস্থিতি অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

শ্যামগঞ্জের মাহমুদা বলেন, প্রায় শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন। এই মসজিদে নামাজ পড়ে অন্যরকম একটা আমেজ পাওয়া যায়। উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে। অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে এখানে। 

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসিম জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অর্থাৎ ৭ মাসে ব্যাংকে ৮১ লাখ টাকা সঞ্চয় হয়েছে। তাছাড়া এ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকার কারণে সাত মাসে এ সঞ্চয় হয়েছে।

গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব গৌরীপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো. জহিরুল হুদা লিটন বলেন, সেটেলম্যান্টের সময় সুলতানী আমলের দু’তলা মসজিদের জন্য কতটুকু জায়গা করমুক্ত বা বরাদ্দ ছিল তা খতিয়ে দেখা এবং কতটুকু জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। তাছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা ভবন নির্মাণ করা এবং জায়গা নির্ধারণ করার কোন পরিকল্পনা আছে কি না, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য মসজিদ কমিটিকে আহ্বান জানান।

ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন এবং দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স এর যৌথ উদ্যোগে আড়াইশ' বছর আগে ব্রিটিশ ভূবিদ জেমস রেনেলের মানচিত্র সংগ্রহের মাধ্যমে মোমেনসিং পরগনার প্রাচীন নিদর্শন খোঁজার জন্য প্রায় চার মাস ধরে জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। মোমেনসিং পরগনায় ৮০ এর অধিক মোগল আমলের মসজিদ ছিল যা মুসলিম শাসন এবং আফগান সামরিক প্রশাসন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত বোকাইনগর ছিল মোমেনসিং পরগনার রাজধানী। 

এই জরিপের অগ্রপথিক, পরিচালক, প্রতিবেদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, ইতোমধ্যে মোমেনসিং পরগনার সমগ্র গৌরীপুর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদের জরিপ সমাপ্ত হয়েছে। এ জরিপে মোমেনসিং পরগনার ৫৫টি মোগল আমলের মসজিদ পাওয়া গিয়েছে, যা বারো ভূইয়া আমলের জলদুর্গের নিদর্শন। এইসব অমূল্য স্থাপত্য কীর্তিগুলি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সুলতান ও মুঘল রাজাদের আমলে।

তিনি আরও বলেন, জলদুর্গ ধ্বংস হওয়ার  কারণ,  ১৭৮৭ সালে বন্যা ও ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদীর তলদেশ এবং কিছু জায়গা উঠিত হবার কারণে জামালপুরের ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে একটি যমুনা নদী সৃষ্টি হয় এবং পদ্মার সাথে মিলিত হয়। ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ৮০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী  দুই-তিন কিলোমিটার প্রশস্থের সোহাই নদী শত বছর আগে গাজীপুর, রঘুনাথপুর, বিসকা, কলতাপাড়া এলাকায় মরা গাঙ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিল।

তাছাড়া ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে অনেক রাজবাড়ি ফাটাল সৃষ্টি হলে জমিদার আমল থেকে ইমারতগুলি পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যারফলে বাড়িগুলো জঙ্গলে পরিণত হয়। যেমন লালচেপুর দালাইন্না জঙ্গল। পুরাতন মসজিদের পাশের জঙ্গলে একটি প্রাচীন রাজবাড়ি ছিল।

এ জরিপে মোমেনসিং পরগনার ৫৫টি মোগল আমলের মসজিদগুলো হচ্ছে- ১) বোকাইনগর শাহী মসজিদ ২) গুজিখাঁ কেরামতি জামে মসজিদ ৩) ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের বেশ কিছু মসজিদ এখনও কালের সাক্ষী হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে। 

মোমেনসিং পরগনার তারাকান্দা উপজেলার চরফরিদপুর গ্রামে পাঁচশো থেকে আটশো বছর আগে দু’টি প্রাচীন স্থাপনা ছিলো। দুইশো বছর ধরে এই ছোট মসজিদে কেউ নামাজ পড়তে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে ১৭৮৭ এর ভুমিকম্পে নদীগুলোর দিক পরিবর্তনের সময়ে গম্বুজের ৩০ শতাংশ ভেঙ্গে যায়। পানি পড়তে পড়তে জঙ্গল বা ঝোপঝার পরিনত হয়। মসজিদের পাশে একটি আধ্যাত্মিক ঘর বা দরগা।

প্রতাপপুরের সুলতান আমলের দু’তলা মসজিদকে ভুল বুঝে মন্দির মনে করা হতো। গত দুই শতাব্দী এখানে কেউ নামাজ পড়েছে বলে মনে হয় না। সিএস কাগজ দেখার পর ১৯৯৭ সালে সুলতান আমলের মসজিদ হিসেবে জানা গেলো। ওই সময়ে মসজিদের ভিত রেখে এবং উপরের অংশ ভেঙে সংস্কার করা হয় এবং মসজিদের নাম রাখা হয় আকবরীয় জামে মসজিদ।

মন্তব্য করুন: