• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বাংলাদেশ

নান্দাইলে এওয়াজ বিনিময় সম্পন্ন না করে মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নান্দাইল প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৬:২৭, ৩০ এপ্রিল ২০২১

নান্দাইলে এওয়াজ বিনিময় সম্পন্ন না করে মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের নান্দাইলে তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার চারতলা নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পত্তি এওয়াজ বিনিময় সম্পন্ন না করেই অন্যের জায়গায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল ২০২১ নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার আগমুশুলী গ্রামের মো. মাজহারুল ইসলাম রাজন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার নতুন চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আগমুশুলী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের তিন ছেলে মো.মাজহারুল ইসলাম রাজন, মো.খোকন মিয়া এবং মো.সুজন মিয়ার কাছ থেকে আলোচনার মাধ্যমে মাদরাসার দক্ষিণ পাশের দেড় শতক জায়গা দাগ নং সাবেক-২১৮৪, বর্তমান দাগ নং-৪৭৩৮ ওয়াকফ এষ্টেটের বিধি অনুযায়ি এওয়াজ বিনিময় হয়। এবং মাদরাসার খণ্ডিত ভূমি দাগ নং সাবেক- ২১৮৫, বর্তমান দাগ নং-৪৭৩৫, খতিয়ান সাবেক-৩৭০, হাল-১৬, (০.৫) আধা শতাংশ করে দেড় শতক জায়গা তিনভাইকে দেওয়া হবে। 

এই মর্মে বিগত ১২ আগষ্ট ২০২৯ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বডির সভায় একটি রেজুলেশন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারী  মো.মাজহারুল ইসলাম রাজনের সাথে কোনো যোগাযোগ না করে তার অপর দুই ভাই মো.খোকন মিয়া এবং মো.সুজন মিয়ার সাথে যোগসাজশে বন্টননামা দলিল রেজিস্ট্রি ব্যাতিত তাদের জায়গার  নিয়ম বহির্ভূতভাবে দখলদারিত্ব নিয়ে নেয়।

এতে অভিযোগকারী মো.মাজহারুল ইসলাম রাজন আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মর্মে তার জায়গার চুড়ান্ত সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাদরাসার অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউনের জন্যে আদালতে আপাতত মামলা হচ্ছে না। লকডাউন শেষ হলেই আমি আদালতের মাধ্যমে আইনগত  পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

জানতে চাইলে তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.আব্দুর রহিম বলেন, ওয়াকফ এষ্টেটের সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বিনিময় সম্ভব নয়। মাদরাসার সভায় রেজুলিউশন এখনো অনুমোদন হয়নি। প্রয়োজনে অভিযোগকারী মো.মাজহারুল ইসলাম রাজনের জায়গা মাদরাসা নিবে না। তার অপর দুই ভাইয়ের সম্মতিতে তাদের জাযগায় মাদরাসার ভবন নির্মাণ করবে কর্তৃপক্ষ। এতে রাজনের কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।

এপ্রিল ৩০, ২০২১

মন্তব্য করুন: