• ঢাকা

  •  বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক দূরদর্শিতা খুবই জরুরি

মো. সহীদুর রহমান

 প্রকাশিত: ১০:১২, ৮ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক দূরদর্শিতা খুবই জরুরি

বাংলাদেশ আজ স্মরণকালের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ফসলহানির মধ্যদিয়ে এই সংকটের শুরু হলেও গত ২৫ আগস্টের পরেই মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত লাখ লাখ শরণার্থীর ঢল এই সংকটকে আরো ঘনিভূত করে তুলেছে। যে কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্যদ্রব্যের দাম বিশেষ করে ধান-চালের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে সর্বাধিক,-যা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।

বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপ রয়েছে এ দেশের। তারপরেও বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, ইত্যাদি রয়েছে নিত্যসাথী। এমতাবস্থায় বিশাল রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ,-যা সব মিলিয়ে ১০/১২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সত্যি খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

ইতোপূর্বেও বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও আশ্রয় দিয়েছে। তবে এবারেরটা একেবারে ভিন্নচিত্র। কেননা, অতীতে বন্যা পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ ছিল। কিন্তু এবার সেই তুলনায় খুবই কম। কিছু কিছু দেশ এখনো বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই সীমিত রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের পক্ষে সবকিছু সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

তদুপরি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারত, চীন, রাশিয়া প্রকাশ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধননীতির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মিয়ানমারের গণহত্যাকে সমর্থন জানিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে।
তবে এ ক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিষয়ে বাংলাদেশ যে হারে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল, এখন পর্যন্ত তা পায়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক কূটনৈতিক ঘাটতি রয়েছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বের সাথে কূটনৈতিক সফলতার চিত্রটি আমরা এখানে মডেল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে পারি। যাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

তবে বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের মানবিকীকরণ পেয়ে যায়, তুরস্কের ফার্স্ট লেডির বাংলাদেশ সফরের মধ্যদিয়ে। মিয়ানমারের সেনা, উগ্র বৌদ্ধদের দ্বারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর বর্বর অত্যাচার-নির্যাতনে ভয়াবহ ছবি, ভিডিও যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক হারে প্রচারিত হয়, তখন বিশ্ব-সম্প্রদায় নড়েচড়ে বসে। প্রকৃতপক্ষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের এই প্রচারণা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়ে। বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যায়। তারপরেও এ কথা বলা অসঙ্গত নয় যে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি পজেটিভ অবস্থান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার সর্বশক্তি কাজে লাগাতে পারেনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে বাংলাদেশের একটি শক্ত অবস্থান থাকার পরও বাংলাদেশ আশাতীত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে মিয়ানমার বেশ এগিয়ে। কেননা, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও অং সান সূ চি প্রকাশ্যে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করে প্রাগৈতিহাসিক যুগের বর্বরতায় সেখানে গণহত্যা চালিয়েও ভারত, চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলোর সমর্থন আদায় করে নেয়। মিয়ানমার সরকার বিশ্বের অনেক দেশকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের এই সামরিক অভিযান মূলত ইসলামী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তাই এখানে বাংলাদেশের মনে রাখা জরুরি যে, মিয়ানমার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশেকে তার কূটনৈতিক তৎপরতায় যত দ্রুত সম্ভব আনান কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাঁদের স্বদেশভূমি পৌঁছে দেয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব-সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আর এ জন্যে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার দৌঁড়ঝাপ অব্যাহত রাখতে হবে প্রতিটি মুহূর্তেই। এ ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্বরতা, অগ্নিসংযোগের ভিডিও ফুটেজ, বিভিন্ন নিবন্ধ, ফিচার ইত্যাদি দেখিয়ে বিশ্বজনমতকে রোহিঙ্গাদের পক্ষে টেনে বাংলাদেশ থেকে তাঁদের ফিরে যাবার রাস্তাটি মসৃণ করতে পারে। তাছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সরকার প্রধান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।

পূর্বেই বলেছি এবং আবারো রোহিঙ্গা সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানই উত্তম পথ। এর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ। তাই বাংলাদেশেকে তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই কূটনৈতিক তৎপরতায় বিশ্ব সম্প্রদায়সহ জাতিসংঘকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধসহ শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে হবে।

জাতিগত নির্মূলে যুগোশ্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মিলোসোভিচকে শক্তি প্রয়োগ করে যেভাবে ন্যাটো বাহিনী পদানত করেছিল, একই কায়দায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদেরও সেভাবে পরাস্ত করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে,-যাতে করে স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্ভয়ে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারে যা ঘটছে, তা স্পষ্টতই জেনোসাইড বা গণহত্যা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হিটলারের বিভীষিকাকেও যেন হার মানিয়েছে। এর জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, অং সান সূ চি থেকে শুরু করে সবাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্পষ্ট করেই এই গণহত্যার কথা বলেছেন। তাই আন্তর্জাতিক আদালতে এই জঘন্য বর্বরোচিত গণহত্যার বিচার চালাতে বাংলাদেশকে যথাযথ কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বোপরি কূটনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্বের সাথে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যাখ্যা করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যে অনেক আগে থেকেই মিয়ানমারের স্থায়ী বাসিন্দা ও বৈধ নাগরিক তা জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীকে হৃদয়াঙ্গম করাতে হবে।

একই সাথে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো স্পষ্ট করে জানাতে হবে, বাংলাদেশ এখন শুধু মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে,-তার বেশি কিছু নয়। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্থ বাংলাদেশের পক্ষে এই মুহূর্তে ১০/১২ লাখের রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করার সামর্থ নেই। তাই রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ও বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলায় জাতিসংঘের পক্ষ হতে শরণার্থীদের জন্য সাময়িক বসবাসের আবাসস্থল নির্মাণসহ দ্রুততার সাথে ব্যাপক ত্রাণ সহায়তা জরুরি। নতুবা রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশকেও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করছে। তাই দেশটির সরকার বাধ্য হয়েই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় নিবন্ধন ক্যাম্প অনেক কম। তাই সরকারের উচিত, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাস্তবতা উপলব্ধিতে এনে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের কর্মযজ্ঞকে আরো প্রসারিত করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা। অবশ্য এর জন্য আমাদের চিন্তিত হবার কারণ নেই। কেননা, ইতোপূর্বে দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রমের সফল উত্তরাধিকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত জনবলতো রয়েছেই। তাঁদের কাজে লাগিয়ে তাদের তত্ত্বাবধানে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনের মিয়ানমারে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘেও তিনি এ ব্যাপারে কথা বলছেন, যা খুবই বাস্তবসম্মত। প্রয়োজনে জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিয়ে সেখানকার বাস্তবতা দেখাতে হবে। তবে এতসব প্রস্তাবনার সফলতা নির্ভর করছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার উপর। যা চাপ বা শাস্তি প্রয়োগে মিয়ানমারকে জাতিসংঘ বাধ্য করবে।

এখানে বলা অপরিহার্য যে, রোহিঙ্গা শরণার্থী বিশ্ব সম্প্রদায়ের যত না সমস্যা, তার চেয়ে বহুগুণে বেশি বাংলাদেশের। সে কারণে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণও বেশি। কেননা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে নৃ-তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আমাদের দেশের মানুষের মিল থাকায় খুব সহজেই এদেশের স্রোতধারার সাথে তারা মিশে যায়। তাছাড়া বর্তমানে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ এইচআইভি ভাইরাসসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য কড়া সতর্কবার্তা। এরপরেও রয়েছে আরাকানের স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র গ্রুপগুলোর এখানে চলে আসার নানা খবর। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাই বাংলাদেশের নানা সীমাবদ্ধতা ও অসহায়ত্বের জায়গাটুকুতে মানবিকীকরণে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে কাছে পাবার অগ্রাধিকার রাখে,-এ কথা সংস্থার সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বোঝাতে হবে।

তাই বিশ্বের নিরাপত্তার স্বার্থেই আনান কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের তাঁদের স্বদেশভূমিতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এ ব্যর্থতায় জঙ্গিবাদের উত্থানে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ সারা বিশ্বকেই চরম মূল্য দিতে হতে পারে। পাশাপাশি ভারত, চীন, রাশিয়াসহ মিয়ানমারে গণহত্যার মদদদাতা রাষ্ট্রসমূহকে খুবই সরল ও স্পষ্ট ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আনান কমিশনের রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যর্থতায় এ অঞ্চলে ভয়াবহ জঙ্গিবাদের উর্বর ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যাবে. তা স্পষ্ট করে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলে দিয়েছেন। তাই বিশ্বের নিরাপত্তার স্বার্থেই আনান কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশভূমিতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থার জন্যে জাতিসংঘকে জরুরিভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এর ব্যর্থতায় জঙ্গিবাদের উত্থানে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। যার তাপদাহ থেকে ভারত, চীন, রাশিয়াও বাদ যাবে না। হয়তো একদিন সারা বিশ্বকেও এর জন্যে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ, ময়মনসিংহ।

মন্তব্য করুন: