• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ভিনদেশ

দুই স্বামীর স্ত্রী খুন, আটক ১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৪ নভেম্বর ২০১৭

দুই স্বামীর স্ত্রী খুন, আটক ১

বিয়ের এক দশক পরে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে আবার দ্বিতীয়বার 'বিয়ে' করেছিলেন। প্রথমে মাস দু'য়েক একসাথে থাকলেও তারপর প্রথম স্বামীর কাছে চলে আসে। পরবর্তিতে বিষয়টি 'দ্বিতীয় স্বামী'র কাছে জানাজানি হলে পরবর্তীতে একসঙ্গেই থাকতে শুরু করেন তিনজন। সেটাও বেশি দিন টেকেনি। খুন হন দুই 'স্বামী'র স্ত্রী রাধা। ঘটনাটি কলকাতার চিতপুরে।

খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর কিনারা করে ফেলল পুলিশ। টাকার চাহিদা বাড়তে থাকায় রাধাকে খুন করেছে বলে জেরায় কবুল করেছে দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জয় মিস্ত্রি। বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) রাতে নিজের বাড়ি থেকে অন্তর্বাস পরা অবস্থায় উদ্ধার হয় রাধার গলা কাটা দেহ। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় মিস্ত্রিকে।

জানা যায়, বছর দশেক আগে প্রদীপ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় গোধূলি ঘোষ ওরফে রাধার। এই দম্পতির সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে ছিল অভাবের সংসার। স্বামী প্রদীপ ঘোষ শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। প্রদীপের কোন আয় রোজগার না থাকায় অভাবের সংসারে বাধ্য হয়ে দেহব্যবসায় নামেন রাধা। তখন সোনাগাছিতে পরিচয় হয় সঞ্জয় মিস্ত্রি নামে এক যুবকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে সেই পরিচয় প্রণয়ের রূপ নেয়। এরপরই ঘর ছেড়ে সোনারপুরে প্রেমিক তথা 'দ্বিতীয় স্বামী' সঞ্জয়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন রাধা। আর নিজের স্বামী প্রদীপ ঘোষকে 'দাদা' বলে সঞ্জয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

তবে সঞ্জয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি রাধার। মাস দুয়েক পর ফিরে আসেন তিনি। ফের প্রথম স্বামী প্রদীপের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এদিকে আন্দামানে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে ২৭ লাখ টাকা নিয়ে ফিরে আসে সঞ্জয়ও। তার মধ্যে ১০ লাখ রাধার পিছনে খরচ করে সে। তখন জানতে পারে প্রদীপের আসল পরিচয়। এরপরই তিন জন মিলে একসঙ্গে থাকা শুরু করে। তিনজনের 'সংসারে' টাকা জোগাতো সঞ্জয়। তবে সঞ্জয়ের অভিযোগ, ইদানিং রাধা ও প্রদীপের টাকার দাবি বাড়ছিল।

বৃহস্পতিবারই তিন জন মিলে মেয়েকে কালনায় মাসির বাড়িতে রেখে আসে। এরপর রাতে প্রদীপ তরকা রুটি কিনতে বের হন। সেইসময় রাধার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয় সঞ্জয়। মওকা বুঝে তখনই সবজি কাটার ছুরি দিয়ে রাধার গলা কেটে দেয়। সঞ্জয় খুনের কথা কবুল করলেও স্বামী প্রদীপের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৪, ২০১৭

মন্তব্য করুন: