• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

বিনোদন

বলিউডের হারকিপটে যারা

বিনোদন ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

বলিউডের হারকিপটে যারা

কিপটে বা হারকিপটে শব্দ দুটোর সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। কিপটে হলো গিয়ে; প্রয়োজনেও যে সাথে টাকা থাকা সত্বেও খরচ করতে চায় না। আর, হারকিপটে হলো, যে খরচের ভয়ে সাথে টাকাই রাখে না।

ধরুন, আপনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় গেলেন। খোঁজ করলে সেই দলে এমন একজন-দু’জনের দেখা পেয়ে যাবেন, যারা পারতপক্ষে পকেটে হাত দেয় না। এমন নয় যে তারা কম রোজগার করে, কিন্তু খরচ করতে তাদের বড্ড বাধে।

বলিউডের সেলেবদের মধ্যেও এমন কয়েকজন আছেন, পিছনে যাদের সবাই কিপটে বলে ডাকেন। তারা প্রতি অনুষ্ঠানে নতুন নতুন ডিজাইনার আউটফিটে শোভিত হয়ে, ফোটোগ্রাফারদের হাসিমুখে পোজ দেন। জুতো, ব্যাগ থাকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের। বিলাসিতায় গা-ভাসানো এহেন সেলেবদের দেখে আপনি কি ভাবতে পারেন, আপনার সেই কিপটে বন্ধুটির মতো তারাও খরচ এড়িয়ে চলেন। এমনকী, বডিগার্ড বা মেকআপ ম্যানকেও মাসের বেতন দিতে ভুলে যান!

শ্রীদেবী: তখন শ্রীদেবীর সঙ্গে সিনেমার যোগাযোগ কম। টুকটাক অনুষ্ঠানে দেখা যেতো। তার দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশির দেখভালের জন্য যিনি ছিলেন, তাকে যে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা গেলেই নাকি খুব খিটখিটে মেজাজে পাওয়া যেত। শোনা যায়, একবার মিডিয়ার সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানান, মালকিন ঠিক মতো মাইনে দেন না! প্রযোজক বনি কপূরের স্ত্রী, এক সময়ের বলিউডের এক নম্বর নায়িকা এমনটা করতে পারেন নাকি? ‘এরা কোনও ল’ মানে না, তাই এদের নাম ললনা!’

কারিশমা কাপূর ও কারিনা কাপূর: এই দলে আছেন তারা দুই বোন। করিশমা সম্পর্কে নাকি একটা কথা প্রায় প্রবাদের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। তিনি সঙ্গে পার্স ক্যারি করেন না! হ্যাঁ, সঙ্গে লুই ভিতো বা শানেল-এর লাখ টাকার ব্যাগ থাকতে পারে, কিন্তু তাতে টাকা থাকতে হবে, এমন আইন কে বানিয়েছে? বছর পাঁচ-সাতেক আগে একবার নাকি সুনীল শেট্টির স্ত্রী মানা শেট্টি ডিজাইনার গারমেন্টের এক চ্যারিটি এগজিবিশন অর্গানাইজ করেছিলেন। চাকচিক্য বাড়াতে সেখানে হাজির ছিলেন সেলেবরা। সেই প্রদর্শনীতে ছিলেন কারিশমা কাপূর। সেখানে তিনি কয়েকটি জিনিস পছন্দ করে, ব্যাগে ভরে যখন গুটিগুটি পায়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছেন, তখন দামের কথা বলা হলে তিনি নাকি বিনা সংকোচে বলে দেন, তিনি পার্স ক্যারি করেন না! যাহ বাবা! তার বোন করিনা, যতই নবাব-গৃহিণী হোন, তিনি যে ‘কঞ্জুস’ নিজেই স্বীকার করেছিলেন একটি টিভি শোয়ে এসে। বলেছিলেন, মালাইকা আর অমৃতার সঙ্গে বেরোলে কখনও টাকা নিয়ে বেরোন না। কারণ ওঁরা করিনার বাড়িতে এলেই খাইখাই করেন!

শিল্পা শেঠি: খরচ না করার সুখ্যাতি এক সময় তারও ছিল বলে শোনা যায়। অবশ্য সেটা বিয়ের আগে। সে সময় তিনি নাকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন এক মেকআপ আর্টিস্টের কাছে মেকআপ সেরে। তার জন্য সে বেচারার পারিশ্রমিক চাওয়া ছিল বারণ। শর্ত থাকতো, শিল্পা যে ছবিতে অভিনয় করবেন, সেখানেও নাকি সে মেকআপ করার সুযোগ পাবে। তার পর সে পাওনাগন্ডা বুঝে নেবে প্রযোজকের কাছ থেকে। শিল্পার টাকাও বাঁচল, আবার মেকআপ আর্টিস্টও খুশি!

তবে বলিউডে মেকআপ আর্টিস্ট ও ড্রাইভারদের পাওনা না দেওয়ার রেওয়াজ নাকি পুরনো। ব্যক্তিগত ড্রাইভারদেরও নাকি অনেক তারকাই মাসিক বেতন দেন না। ছবির সেটে যে তারকা যত দামি গাড়ি নিয়ে আসেন, তার উপর একটা ভাতা ধরা থাকে। যত দামি গাড়ি, তত বেশি ভাতা। ড্রাইভারের জন্যও আলাদা অ্যালাওয়েন্স থাকে। পুরো খরচ প্রযোজকের। ড্রাইভারদের প্রতি নাকি অলিখিত নির্দেশ থাকে, খরচ তুলে নিতে হবে সেখান থেকে।

মালাইকা অরোরা: তার এক প্রাক্তন বাউন্সার নাকি চাকরি ছেড়েছিলেন মালকিনের কাছ থেকে ঠিক মতো মাইনে না পাওয়ায় ও তার খিটখিটে মেজাজের কারণে।

কপিল শর্মা: কিপটেমির দৌড়ে এদের চেয়ে অনেক এগিয়ে কপিল শর্মা। তিনি নাকি মাঝেমধ্যেই স্টুডিওতে আসতেন অটোতে, কিন্তু ভাড়া দিতেন না বলে শোনা যায়। তবে, অটোওয়ালাও ছেড়ে দিতে চাইতেন না। কিন্তু কপিল বলতেন, ‘আমি কপিল শর্মা, চেনো না!’

কর্ণ জোহর: তার প্রোডাকশন হাউস নিয়েও বহু কথা শোনা যায়। মাস গেলেও অনেকেই নাকি মাইনে পান না। বিশেষ করে যে সব বিগ বাজেটের ছবি ফ্লপ করেছে, তার সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী নাকি এখনও কাঁদেন টাকা না পাওয়ার দুঃখে।

এ রকমই আর এক নামী প্রযোজক সঞ্জয় লীলা বানসালী। তার সেট যতই মহার্ঘ হোক, তা দেখে মানুষটাকে বিচার করবেন না। আদতে তিনি কিন্তু প্রচণ্ড হিসেবি মানুষ। খাওয়া-দাওয়া, পোশাক... নানা ব্যাপারে তার মতোই সাধারণ প্রযোজক নিখিল আডবাণীও।

নভেম্বর ২৩, ২০১৭

মন্তব্য করুন: