• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

ফিচার

মৃত ছেলের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে যমজ নাতির মুখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মৃত ছেলের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে যমজ নাতির মুখ

২০১৩ সালে জার্মানিতে পাঠরত অবস্থায় ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। সেই ছেলের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে সারোগেসি পদ্ধতিতে জমজ নাতি পেলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। ঘটনাটি ভারতের পুনেতে।

ব্রেন টিউমার ধরা পড়ার পর তাকে চিকিত্সকরা কেমোথেরাপি নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। তখনই আশঙ্কা ভুগতে থাকেন তার বাবা-মা। চিকিত্সার পর ছেলে ছেলে প্রজনন ক্ষমতা হারাবে, এই আশঙ্কায় তার শুক্রাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এর পরই তার শুক্রাণুর নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয় জার্মানির একটি সংস্থায়।

২০১৬ সালে পুনেতে ফিরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপরই স্পার্ম ব্যাঙ্কে রাখা ছেলের শুক্রাণুর নমুনা ভারতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা মা। গত বছর সেখান থেকে ছেলের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে আসা হয় পুনেতে। এরপরই পুনের আহমেদনগর রোডে সাহাদ্রি হাসপাতালে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করার আর্জি জানাতে যান তারা।

প্রথমে যুবকের ৪৯ বছর বয়সী মা নিজেই ডিম্বাণু দান করতে চাইলে তার গর্ভধারণের ক্ষমতা আর না থাকায় অবশেষে এক আত্মীয়ার সাহায্য নিতে হয় তাদের। তার থেকে পাওয়া ডিম্বাণু ও ওই শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে ৪টি ভ্রুণ তৈরি করেন চিকিত্সকরা। এর পর তা ওই আত্মীয়ের জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। অবশেষে ২০১৭-র জুনে মেলে সাফল্য। গর্ভধারণ করেন ওই আত্মীয়া। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি যমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

তবে গোটা প্রক্রিয়ার আইনি দিক নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চেন্নাই সারোগেসি ল সেন্টারের কর্ণধার হরি জি রামাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, এই ঘটনা ভারতে প্রথম নয়। এর আগে তিন থেকে চারবার এমন ঘটনা ঘটেছে এদেশে। তবে প্যাঁচে আটকে রয়েছে বৈধতা। কারণ, সারোগেসি রেগুলেশন বিল ২০১৬ এখনও পাস হয়নি সংসদে। ফলে কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮

মন্তব্য করুন: