• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

বাংলাদেশ

লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর নিয়ে উত্তেজনা

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৮ মার্চ ২০১৮

লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর নিয়ে উত্তেজনা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই ঘটনায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ছাত্রলীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৮ মার্চ) ঘটনাটি মিমাংসা করতে ৬ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ছাত্রলীগের সাথে ৫ ঘণ্টাব্যাপী  চেয়ারম্যানদের বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি।

ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে ৫ ঘন্টা সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে পরে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

ঘটনার ১২ দিনে পুলিশ তদন্তের অজুহাতে জড়িতদের গ্রেফতার না কারায় ছাত্রলীগের মাঝে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যম কাদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মঞ্চ ভাংচুর করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থপনা কমিটির সভাপতি জিহাত হোসেন বাবু এ ভাংচুরের ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করেন। পরে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের মধ্যস্থতায় ১৮ মার্চ রাতে স্থানীয় ভাবে তা মিমাংসা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ১৯ মার্চ দৈনিক মানবকন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে স্থানীয় ছাত্রলীগ সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান অভিযোগ করেন, ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি মিমাংসা করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টায় ওই ঘটনায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন। পরে কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ২য় তলায় বৈঠক বসেন। ৫ ঘন্টাব্যাপী ওই বৈঠক বিকাল ৪ টায় শেষ হলেও কোনো মিমাংসা হয়নি।

বৈঠক শেষে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান সাংবাদিকদের বলেন, মিমাংসা নয়, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতার জন্য চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক করেছি। জীবনের শেষ রক্তের বিনিময় হলেও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের সাথে কোনো আপোষ নয়।

তবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে ৫ ঘন্টা সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে বিকাল ৪টায় তা স্থগিত করেন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন।

এ দিকে ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন জানান, ওই দিন বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর আমি ৪ লাখ টাকার বিনিময় ঘটনা মিমাংসার প্রশ্নই উঠে না। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বরকত হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ থানায় একটি অভিযোগ করেছে। কোনো ভাবেই বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

হাতীবান্ধা থানার ওসি উমর ফারুক জানান, আমি এ থানায় নতুন এসেছি। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

মার্চ ২৮, ২০১৮

মন্তব্য করুন: