• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

ভিনদেশ

মুন্ডুচ্ছেদে অনুতপ্ত আইএসের দুই জঙ্গি!

আন্তর্জাতিক ডেক্স

 প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ২ এপ্রিল ২০১৮

মুন্ডুচ্ছেদে অনুতপ্ত আইএসের দুই জঙ্গি!

আইএস-এর মধ্যে যাদের কথাবার্তায় খাঁটি ব্রিটিশের টান, তারা আইএসের কাছে পরিচিত ছিল ‘বিটলস’ নামে! আর এই জঙ্গি-বিটলসের দুই সদস্য আল শাফি আল শেখ এবং আলেকজান্দা কোতে ছিল মুণ্ডুচ্ছেদে ওস্তাদ। এখন তারা মনে করছেন, মুণ্ডুচ্ছেদ ঠিক নয়। তবে এও বলেছেন, প্রতিশোধ তো নিতেই হতো।

তবে এখন তারা বলছেন, মুণ্ডুচ্ছেদ ‘সঠিক কাজ’ ছিল না। তবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাকি আর কোনও উপায়ও ছিল না তাদের হাতে।

গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন এই দুই ব্রিটিশ জেহাদি। এখন অজ্ঞাতপরিচয় স্থানে রাখা হয়েছে তাদের। সম্প্রতি সিরিয়ার কোবানিতে কুর্দিদের একটি নিরাপত্তা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই দুই জঙ্গির সাথে কথা হয় সংবাদ সংস্থার। সেই সময়ের কথোপকথনেই উঠে এসেছে আইএস জঙ্গিদের এই উপলব্ধির কথা।

তদন্তকারীদের দাবি, সিরিয়ায় ২০১৪ এবং ১৫ সালে আইএস ২০ জনেরও বেশি মার্কিনিকে পণবন্দি করেছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলি। তাদের উপরে অকথ্য নির্যাতন চালাতো আইএস। সঙ্গে মাঝে মাঝেই সেই নির্যাতন অথবা নিষ্ঠুর ভাবে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিতো ইন্টারনেটে। ওই সময়ে সিরিয়ার আইএস-বিটলস-এ সক্রিয় ছিল এই দুই জঙ্গি।

আর এই জঙ্গি-বিটলসসহ বাকি বৃহৎ গোষ্ঠীর নেতা ছিল মহম্মদ এমওয়াজি, তিনি পরিচিত ছিলেন ‘জেহাদি জন’ নামে। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং জাপানি সাংবাদিক মিলিয়ে মোট সাতজনের মুন্ডুচ্ছেদের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া, কিছু ত্রাণকর্মী ও সিরিয় সেনাকেও মুন্ডুচ্ছেদ করেছে তারা। তারপর ওইসব ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতো তারা।

এখন অবশ্য আল শাফি আর আলেকজান্দা বলছে, গোষ্ঠীতে অনেকেই মাথা কাটার সঙ্গে সহমত ছিল না। বরং অপহৃতদের বন্দি করে মুক্তিপণ চাওয়ার কথা ভাবতো তারা। এখন মাথা কাটার জন্য ‘অনুতাপ’ হয় তাদের।

মার্কিন সরকার এবং গোটা দুনিয়ার প্রতি সাংবাদিক জেমস ফলির মা ডায়ানের আর্জি, আল শেখদের মতো জঙ্গিদের যেন মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয়। তাহলে ওদের ইচ্ছেই পূর্ণ হবে। বরং ওদের প্রকাশ্যে বিচার হোক। যাতে তারা বোঝেন, বিশ্বকে কী মারাত্মক যন্ত্রণা দিয়েছেন তারা।

এই দুই ব্রিটিশ জঙ্গির বিচার নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়াতেও এখন জোর বিতর্ক। কারণ কুর্দিরা চায় তাদের দেশের জেল খালি করে ইউরোপ-আমেরিকার জঙ্গিদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে। মূল প্রবন্ধ: আনন্দবাজার থেকে

এপ্রিল ০২, ২০১৮

মন্তব্য করুন: