• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারের খবরে ১৪ বাল্যবিবাহ ঠেকালেন ইউএনও ফরিদা

বিশেষ সংবাদদাতা, নেত্রকোনা

 প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২২ এপ্রিল ২০১৮

ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারের খবরে ১৪ বাল্যবিবাহ ঠেকালেন ইউএনও ফরিদা

বারহাট্টা (নেত্রকোনা): একাধারে চৌদ্দটি বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে সঞ্চারিত বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বাল্যবিবাহের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন

ইউএনও ফরিদা বারহাট্টা উপজলায় যোগদান করেছেন প্রায় এগারো মাস। এরমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গোপন খবর পেয়ে তিনি চৌদ্দটি বাল্যবিবাহ ঠেকিয়েছেন। খবর পেলেই বাল্যবিবাহ ঠোকাতে দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থা উপেক্ষা করে রাতবিরেতেও ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন তিনি। কখনো এমনটি হয়নি যে, খবর পেয়েছেন আর ঠেকাতে পারেননি কোনো বাল্যবিবাহ।

সমাজে এখনও মেয়েদের আপদ বা বোঝা মনে করা হয়। আর সেটা শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্রার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। সেই শ্রেণির লোকেরা মেয়েদের দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেরে ফেলাটাকে নিজেদের মুক্তির পথ ভাবেন। এ ধরণের ভাবনা থেকেই মূলত অভিভাবকরা ছোটছোট মেয়েদের পড়াশোনা না করিয়ে বাল্যবিবাহ দিয়ে দেন।

একান্ত আলাপচারিতায় সহজসরল বাক্যে এমনই সব অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকের সাথে ভাগাভাগি করলেন ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রত্যেকের অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে অধিকাংশ অভিভাবক তার প্রতি বিরাগভাজন হলেও পরবর্তীতে এসে প্রশংসা করেছেন। অনেকেই দোয়া করেছেন তার জন্য। যোগ করেন তিনি

ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন বাল্যবিবাহ ঠেকানো মেয়েদের মধ্যে লিমা, সেলিনা নামের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর পড়ালেখাসহ তাদের হাত খরচ নিজেই বহন করছেন।

বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকেই সিংহভাগ বাল্যবিবাহের তথ্য এসেছে। সেক্ষেত্রে স্কুলকলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রেখেছেন। তবে শুধু বাল্যবিবাহ নয়, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সকল বিষয়ে তথ্য দিচ্ছেন জনগণ। বলেন ইউএনও

তবে বর্তমান সময়ে মাঠে কাজ করার পাশাপাশি সমাজের সকল ভালো কাজে অংশ নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত থাকার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ফরিদা ইয়াসমিন মনে করেন, জনসম্পৃক্ততা আছে এমনসব সরকারি দপ্তরগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বয় বাড়ানোর দরকার।

এপ্রিল ২২, ২০১৮

মন্তব্য করুন: