• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

জীবন-যাপন

স্ট্রেচমার্ক তাড়ানোর কয়কটি টোটকা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২ মে ২০১৮

স্ট্রেচমার্ক তাড়ানোর কয়কটি টোটকা

স্ট্রেচ মার্ক কোনও সঙ্গত কারণেই তৈরি হয়। মূলত ত্বকের উপরের অংশে অর্থাৎ পেট, হাতের উপরের অংশ এবং উরুতে এই মার্ক দেখা যায়।

হয়তো আপনি সদ্য মা হয়েছেন অথবা কোন কারণে আপনার ওজন বেশ কিছুটা কমেছে। আবার হয়তো আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনও অপারেশন হয়েছে। এইসব বিভিন্ন কারণে স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে।

আমাদের ত্বকের তিনটে স্তর আছে। এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং হাইপোডার্মিস। স্ট্রেচমার্ক এই দ্বিতীয় স্তরে তৈরি হয়। ত্বকের সংযোজনকারী টিস্যুর অতিরিক্ত সংকোচন প্রসারণের ফলে স্ট্রেচমার্ক তৈরি হয়। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে স্টেরোয়েড থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেভাবে স্ট্রেচমার্ক তাড়াবেন-

ক্যাস্টর অয়েল:
রিঙ্কল, এজিং, দাগ ছোপ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল বহুদিন ধরেই ব্যবহার করা হয়। যেখানে স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে সেই অংশে ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর পাতলা কোনও কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে ৩০ মিনিট বেঁধে রাখুন। একমাস করলেই তফাত বুঝতে পারবেন।

ডিমের সাদা অংশ:
ডিমের সাদা অংশ প্রোটিনের ভাল উৎস। তাই স্ট্রেচ মার্কে এই সাদা অংশ লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। 

অ্যালোভেরা জেল:
ত্বকের যে কোনও সমস্যায় অ্যালোভেরা খুব উপকারী। স্ট্রেচমার্কের উপর অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মালিশ করে ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও ওই জেলের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মালিশ করলেও ভালো ফল পাবেন।

লেবুর রস:
যে কোনও দাগ ছোপ তুলতে লেবুর রস কার্যকরী। তাই গোসলের আগে লেবুর রস লাগাতে পারেন অথবা শসার রসের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন।

চিনি:
অলিভ অয়েলের সঙ্গে লেবুর রস এবং চিনি মিশিয়ে প্যাক বানান। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহেই ফল পাবেন।

আলুর রস:
আলুর রসে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে। যা নতুন কোষ গঠনে সহায়ক। তাই আলু পাতলা করে কেটে স্ট্রেচ মার্কে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এক মাস মেনে চলুন। উপকার পাবেন।

কোকোবাটার:
কোকোবাটার ত্বক নরম রাখতে সাহাষ্য করে। তাই স্ট্রেচের দাগে নিয়মিত কোকোবাটার লাগালে তা মিলিয়ে যায়। দিনে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন। এটি আপনি ইচ্ছে করলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। এককাপ বাটারের সঙ্গে ২ চামচ কোকোপাউডার, চিনি ও ভিটামিন-ই মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেলো কোকোবাটার।

অলিভ অয়েল:
এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও ভিনিগার, পানি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করুন। ফল পাবেন। #

মন্তব্য করুন: