• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

প্রবাসের কথা

স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় ইইউ

জামান সরকার, ফিনল্যান্ড থেকে

 প্রকাশিত: ০৩:১৭, ১২ জুলাই ২০১৮

স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় ইইউ

বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ভোট অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাংলাদেশ বিষয়ক গ্রুপের প্রধান জ্যঁ ল্যামবার্ট। একই সঙ্গে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ দেশ থেকে পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পরামর্শও এসেছে তার বক্তব্যে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্র ও মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র চার্লস ট্যানকের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও আয়োজকের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতের’ অভিযোগ তুলে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি বড় আকারের প্রতিনিধিদল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

জ্যঁ ল্যামবার্টের বক্তব্যে দুটো বিষয় বেশ জোড়ালোভাবে উঠে এসেছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এবং সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন। 

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনই পারে নির্বাচনে সব দলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ থাকতে হবে। 

জ্যঁ ল্যামবার্ট বলেন, এমন নয় যে শুধু ভোটের দিন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে! প্রার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারেন সে বিষয়টিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

“ভোটে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে ভোটাররা অন্তত তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন।” বলেন জ্যঁ ল্যামবার্ট

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও দলীয় প্রভাবের বাইরে থেকে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে, খালেদা জিয়ার সাজার পর পরিস্থিতি আরও ‘জটিল’ হয়েছে বলে তার ধারণা।

ব্রাসলসের ওই সভায় ল্যামবার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করলেও পরোক্ষভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।

সভায় ইউরোপীয় কমিশনের বাণিজ্য বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক উইলিয়াম ভ্যান ডার জিস্ট বাংলাদেশে বৈষম্য বৃদ্ধি মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দেশে বৈষম্য বেড়েছে, মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আগামী ১২ বছরের মধ্যে দেশটিতে দুই কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে হবে। 

বাংলাদেশের শিক্ষার গুণগত মান কমার বিষয়টিও তুলে ধরেন অধ্যাপক জিস্ট।

সভায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যদের (এমইপি) মধ্যে সাইয়েদ কামাল, ব্যারনেস মোবারক, সাজ্জাদ করিম, আমজাদ বশির বক্তব্য দেন।

জুলাই ১২, ২০১৮

মন্তব্য করুন: