• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

প্রবাসের কথা

ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সময়বিডি ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ২৬ মার্চ ২০২০

ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

রােম (ইতালি): ইতালির রোমস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদূর্ভাবের ফলে জনসমাগমের উপর ইতালি সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সীমিত আকারে দিবসটি উদযাপন করা হয়। 

পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন, দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও ইতালির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সন্মানিত নাগরিকদের জন্য অভ্যার্থনার আয়োজন। করোনা ভাইরাসের কারণে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব না হলেও অবস্থার উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সমস্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।  

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাঙালিরা তদানিন্তন পাকিস্তানের অধীনে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈষম্যের শিকার ছিলেন। এই বৈষম্য থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই করেছিলেন।  

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করেছি।

স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদানের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ে তিনি এ কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বঙ্গন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষির্কী থাকায় এবছরের স্বাধীনতা দিবস আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিদেশী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে নানা আয়োজনের মাধ্যমে ‘মুজিব বর্ষ’ এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছেনা।

পরে করোনাভাইরাস নামক রাহুর গ্রাস থেকে সকল বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য পরম দয়ালু সৃষ্টিকর্তার কাছে মোনাজাত করা হয়।

মার্চ ২৬, ২০২০

মন্তব্য করুন: