গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে প্রতারণা করেছেন ড. ইউনূস
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ফোনের যখন অনুমতি দেয়া হয়, তখন শর্ত ছিলো লভ্যাংশের ৩০ ভাগ গ্রামীণ ব্যাংককে দেয়া হবে। কিন্তু তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে কোন টাকাই রাখেননি। লভ্যাংশের শতকরা ৩০ ভাগ গ্রামীণ ব্যাংককে না দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ফোনের শেয়ার বিক্রি করে অধিকাংশ নিজের সম্পত্তি করে নিয়েছেন। আবার উনি নিজেও কর দেন না। তার ফিক্স ডিপোজিটে প্রচুর টাকা রয়েছে। মামলা করে দিয়েছেন তাই কর দিতে হয় না। তার এই টাকা কোথা থেকে এসেছে সেই হিসাবও তিনি দিতে পারেননি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ফোনের ঋণ নিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দিয়ে মানুষ সর্বশান্ত হয়েছেন। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী কেউ ৬০ বছর বয়সের বেশি হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭০ পেরিয়ে গেলেও এই পদ আঁকড়ে ধরে থাকেন। তাকে ওই পদ ছেড়ে অন্য কোন সম্মানজনক পদে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি আদালতে মামলা করে দেন। আইন তার পক্ষে না থাকায় তিনি মামলায় হেরে যান।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য করি কোন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে টাকা সরিয়ে নিয়ে নিজের ভাগ্য গড়ার কোন ইচ্ছাই নেই। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, তিনি যে আমার বিরুদ্ধে লবিং করলেন, যখন তিনি আমার কাছ থেকে গ্রামীণ ফোনের অনুমোদন নিয়েছিলেন, তখন কি আমাকে এক কাপ চাও খাইয়েছেন? উল্টো চা খাইয়ে ব্যবসা দিয়েছিলাম। আমরা সেই মানসিকতার লোক।’
সূত্র: এএলবিডি.ওআরজি
জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
মন্তব্য করুন: