বিএসএফের নির্যাতনে জখম নান্দাইলের মুরারী মোহন গুপ্ত

লালমনিরহাট: দহগ্রাম সীমান্তে মুরারী মোহন গুপ্ত নামে এক বাংলাদেশিকে গুরুতর যখম অবস্থায় উদ্ধার করেছে বিজিবি।

মুরারী মোহন গুপ্ত (৫৫) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সাভার এলাকার মৃত দেবেন্দ্র মোহন গুপ্তের ছেলে। তিনি গত ৫-৬ মাস পূর্বে বিনাপাসপোর্টে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়েছিলেন।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাতে দালালের মাধ্যমে ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার সীমান্ত পথে দহগ্রামে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে প্রথমে আটক হন এবং পরে বিএসএফ তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।

এলাকাবাসী, দহগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তের আঙ্গরপোতা বিজিবি এলাকার মেইন পিলার ১০ এর পাশ দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় কুচবিহার-২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অমর ক্যাম্পের টহল দল মুরারী মোহন গুপ্তকে আটক করে। সীমান্তেই তাকে রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত, পা ও বাম চোখ গুরুতর যখম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দিলে; বিজিবি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দহগ্রাম হাসপাতালে এবং পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

দহগ্রাম হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জিল্লুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুরারী মোহন গুপ্ত গুরুতর যখম হয়েছেন। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়য়ের পাটগ্রাম কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার সুজা উল্ল্যাহর বলেন, বিএসএফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল আহমদ বজলুর রহমান হায়াতী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত মুরারী মোহন গুপ্তের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে আপনাদেরকে এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানা হবে।’    

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭