• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় রংপুর অঞ্চলে কমছে ধান চাষ

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৯ মার্চ ২০১৭

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় রংপুর অঞ্চলে কমছে ধান চাষ

লালমনিরহাট: রংপুর অঞ্চলে ইরি ও বোরো ধানের চাষ প্রতি বছর কমে আসছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশংকাজনক ভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় ও ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আর ধানের বিকল্প লাভজনক অন্য ফসল চাষাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তারা।

তবে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, ইরি-বোরো চাষের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে তারা বোরো চাষের পরিবর্তে পানি ছাড়া অন্য ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। যে কারণেই ইরি-বোরো চাষ কমে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধায় ২০১৫ সালে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ২ শত ৮৩ হেক্টর জমিতে। ২০১৬ সালে তা কমিয়ে দাড়িয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ৬ শত ৮৬ হেক্টরে। চলিত ইরি-বোরো মৌসুমে চাষ হয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার ২শত ৮৩ হেক্টর জমিতে। প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর কম জমিতে ধানের চাষ হয়েছে গত দুই বছরে।

কৃষি বিভাগের অপর একটি সুত্র মতে, গত দুই বছরে রংপুরের ৫ জেলায় আলু চাষ বেড়েছে ১০ হাজার ৩ শত ৬৬ হেক্টর জমিতে, ভুট্টা চাষ বেড়েছে ১১ হাজার ২ শত ২৪ হেক্টের জমিতে।  এছাড়া ব্যাপক হারে বেড়েছে বাদাম, টমেটো, কুমড়া চাষ।
 
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের কৃষক মাজেদুল ইসলাম জানান, ১ মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৭শ' টাকা। অথচ সেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৬শ' টাকায়। তাই এবার ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করেছে। ভুট্টার বাজার দর ধানের চেয়ে তুলনামূলক ভালো বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় বলেন, ইরি-বোরো চাষের কারণে রংপুর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানিস্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যে কারণে ইরি-বোরো চাষের পরিবর্তে পানি ছাড়া অন্য ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

মার্চ ১৯, ২০১৭

মন্তব্য করুন: