• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বাংলাদেশ

গৌরীপুরে আগুনে দগ্ধ নারী কনস্টবলের মৃত্যু

গৌরীপুর সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৩ এপ্রিল ২০১৭

গৌরীপুরে আগুনে দগ্ধ নারী কনস্টবলের মৃত্যু

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আগুনে দগ্ধ নারী কনস্টবল হালিমা খাতুন (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে ভালুকায় তার মৃত্যু হয়।

হালিমার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়। গত চারমাস আগে তিনি গৌরীপুর থানায় কনস্টবল পদে যোগ দেন। তার পুলিশ কনস্টেবল নং-১০৪৭।

তার দুজন সহকর্মী জানান, গত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হালিমা পুলিশ ব্যারাকের নিজ কক্ষে একাকী সময় কাটাতেন। অন্যদিন তিনি কিছু সময়ের জন্যে হলেও থানায় গিয়ে টুকটাক কাজকর্ম করতেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে তাকে কেউ ঘর থেকে বের হতে দেখেনি। বিকাল তিনটার দিকে নারী কণ্ঠের আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে ব্যারাকের অন্য বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে দেখতে পান হালিমার কক্ষের দরজা বন্ধ। কিন্তু রুমের ভিতর থেকে ধোঁয়া ও দাহ্য তরলের গন্ধ বের হচ্ছে দেখে দরজা ভেঙ্গে হালিমাকে গুরুতর অগ্নিদ্গ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হালিমাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মিজানুর রহমানের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল হালিমার। কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পকের অবনতি ঘটছিল। এই অবস্থায় হালিমা অভিমান করে হালিমা নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।  

তবে পুলিশ বিষয়টি স্বীকার করেনি। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহাম্মদ জানান, আমরা জানি তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

হালিমার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই মিজানকে পুলিশি নজরদারিতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

এপ্রিল ০২, ২০১৭

মন্তব্য করুন: