• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

শীষে ধানের পরিবর্তে চিটা

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৯ মে ২০১৭

শীষে ধানের পরিবর্তে চিটা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় হাজার  হাজার বিঘা জমির ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। অর্ধেকেরও বেশি ধান চিটা হয়ে গেছে। এক বিঘা জমিতে ২০-২২ মণ ধানের পরিবর্তনে মিলছে ৮-৯ মণ ধান।

হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, বিশেষ করে বিআর ২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আপাতত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে, গাছে ধান পেকে গেছে। শীষ হয়ে গেছে সাদা। কিন্তু শীষে আসলে ধানেই নেই। সাদা ধানের শীষে চালের পরিবর্তে মিলছে পাতান (চিটা)।

তিনি আরও বলেন, মাঠের পর মাঠ ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ধানের শীষ বের হওয়ার ৫-৭ দিনের মাথায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্ষেতের জমি। এতে জমির ধান শীষ শুকিয়ে পাকিয়ে যাওয়ার রং ধারণ করছে। এ রোগ আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে জমির ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা পড়েছে মহাবিপাকে। যেসব কৃষক অন্যের জমি ইজারা নিয়ে কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন, বাকিতে দোকান থেকে সার, বিষ ও কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।

একই এলাকার কৃষক আখতার আলী বলেন,  কীটনাশক প্রয়োগের আগেই জমির ধান সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। বিষ প্রয়োগ করেও এ রোগ থেকে প্রতিকার মিলছে না। দুই বিঘা জমিতে সেখানে কম পক্ষে ৪৫ মণ ধান হওয়ার কথা, সেখানে ধান পেয়েছি মাত্র ১৮ মণ।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় বলেন, ব্লাস্ট একটি ছাত্রাক জাতীয় রোগ। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে বোরো ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে।

মে ০৮, ২০১৭

মন্তব্য করুন: