• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

বাংলাদেশ

লালমনিরহাটে চালের বাজার অস্থির

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৪ জুন ২০১৭

লালমনিরহাটে চালের বাজার অস্থির

লালমনিরহাট: ঈদ আসন্ন। কিন্তু এর আগেই চাল ব্যবসায়ীদের মাঝে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের বাজারে। আর এর প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের নিম্ন আয়ের মানুষের উপর।

চাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গড়ে উঠা এ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিলে চালের বাজার আবারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, লালমনিরহাট জেলায় এবার ইরি, বোরো ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইরি, বোরো ধানের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা মোটেও হিসাব করার মতো নয়। এ ক্ষতি চালের বাজারে প্রভাব ফেলার মতো না হলেও ওই অজুহাতে ব্যবসায়ীরা চালের দাম ঠিকেই বাড়িয়ে দিয়েছে।

লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে ২ হাজার ৮ শত ৯৬ মেঃ টন চাল মজুদ আছে। লালমনিরহাট ও পার্শ্ববতী জেলাগুলোতে প্রচুর পরিমান চালের আমদানি থাকলেও বেশি দামে তা বিক্রি হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার পৌর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সামসুল আলম, মতিয়ার রহমান ও জাবিদ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশে এমন কোনো মহামারি দেখা দেয়নি যার ফলে মোটা চালের দাম ৪৭ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। মিল বা গুদাম থেকে তাদের বেশি দামে চাল ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারণে তাদেরও বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। কতিপয় মিলার ও ব্যবসায়ী হাজার হাজার টন চাল মজুদ রেখে সুকৌশলে দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ চায় ব্যবসায়ীরা।

লালমনিরহাটের বিভিন্ন চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিআর-২৮ চাল ৪৬ থেকে ৪৯ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, লাল পাইজাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং সব চেয়ে বেশি মোটা চাল বিআর-১১ বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৩ টাকায়।

জেলার হাতীবান্ধা বাজারে চাল ব্যবসায়ী কপিল উদ্দিন বলেন, গত ১০-১২ দিন আগে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২ দিন ধরে বিআর-১১ মোটা চাল ১০০ কেজির বস্তা পাইকারী ৩ হাজার ৯ শত ৮০ টাকা  ক্রয় করতে হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষন রায় বলেন, এবার ইরি-বোরো ধানের বেশ ফলন হয়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা ধরার মতো নয়। এই ক্ষতি চালের বাজারে প্রভাব পড়ার প্রশ্নই আসে না।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান বলেন, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে দাম বৃদ্ধি করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জুন ২৪, ২০১৭

মন্তব্য করুন: