• ঢাকা

  •  বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বাংলাদেশ

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করলো বিএসএফ

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ২৯ জুন ২০১৭

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করলো বিএসএফ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চোরাকারবারী প্রতিরোধ করতে গিয়ে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মরদেহ বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে বিজিবি’র কাছে হস্থান্তর করেছে বিএসএফ।

এর আগে বুধবার সকালে ভারতের অভ্যন্তরে তার লাশ উদ্ধার করেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল গোলাম মোরশেদ বলেন, দুই দিন পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে দহগ্রাম এলাকার ৪ কিলোমিটার ভাটিতে ভারতের অভ্যন্তরে তিস্তার নদীতে লাশটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে ১৩ ভারতীয় কুচবিহার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র একটি টহল দল ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশটি উদ্ধার করেন। বিকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ লাশটি বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেন।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ভারতীয় কুচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার অরুন ক্যাম্পের ২২ বিএসএফ’র কোম্পানী কমান্ডার বিনোদে রাজ লাশ হস্তান্তর করেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ ও বিজিবি’র রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ।

সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে পাটগ্রাম থানার ওসি অবনী শংকর কর জানান, বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া শরীরে কোনো আঘাতে চিহু পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে পুরো বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১-বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত থাকলেও তিনি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে সংযুক্ত ছিলেন। গত সোমবার ইদের দিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে আবুলের চর যান। এ সময় ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া ও সিপাহী উচ্চ প্রু মারমা ওই টহল টিমে ছিলেন। আবুলের চর এলাকায় তিস্তা নদীর কিনারে গরু চোরাকারবারীদের সাথে গরু টানাটানির এক পর্যায়ে টুটুল মিয়াকে নদীতে নামানো হয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারীরা গরুর রশি ছেড়ে দিলে দুইটি গরুসহ কোন রকমে চরে ফিরে আসেন টুটুল মিয়া। এদিকে টুটুল মিয়া তলিয়ে যাচ্ছে ভেবে তাকে উদ্ধারের জন্য রাইফেল ও গোলাবারুদ উচ্চ প্রু মারমার হাতে জমা দিয়ে সুমন তিস্তা নদীতে নামেন। পরে তিনি সেখানেই নিখোঁজ হন।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়ী সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার আটঘড়িয়ার আউশপাড়া এলাকায়। তার বডি নং ৭৬২৪১।

জুন ২৯, ২০১৭

মন্তব্য করুন: