• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

বাংলাদেশ

তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দি ৫ হাজার পরিবার

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২ জুলাই ২০১৭

তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দি ৫ হাজার পরিবার

লালমনিরহাট: ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলাসহ জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শনিবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করে। হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামে শনিবার সকালে দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের দোয়ানী পয়েন্টে শনিবার দুপুরে বিপদ সীমার ১০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।

পাউবো সুত্র জানায়, পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা- দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার ১০ গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে।  

হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। দক্ষিন ধুবনী গ্রামে বাধেঁর ২টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। তার অভিযোগ, বাঁধটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কারণেই বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে ফলে ওই এলাকায় বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখনো পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে কোন খাবার বিতরণ করা হয়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান জানান, ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি।

জুলাই ০২, ২০১৭

মন্তব্য করুন: