• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

রাস্তা মেরামতের দাবীতে শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ১২:৫৫, ১৭ জুলাই ২০১৭

রাস্তা মেরামতের দাবীতে শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুইটি সরকারি আবাসনে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কারের দাবীতে অভিনব প্রতিবাদ করেছে আবাসনে থাকা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ভাঙা রাস্তা মেরামতের দাবীতে পানিতে দাঁড়িয়ে এই অভিনব প্রতিবাদ জানান।

এর আগে ভাঙা রাস্তাটি মেরামতের দাবীতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করেন এলাকাবাসী।

লালমনিরহাট রামকৃষ্ণ মিশন এলাকার শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোহসেনা আখতার বলেন, রোববার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মা সমাবেশ ছিল। ওই সমাবেশে আবাসনের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মা বলেছেন তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ভাঙা এবং বেহাল দশা। এজন্য শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ভিজে কাদাপানিতে মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। বিষয়টি রেজুলেশনে উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।

লালমনিরহাট পৌরসভার-৭ নং ওয়ার্ডের কমিশনার হাসান কামাল ভূট্টু বলেন, আসাবনের ভালো-মন্দ সবকিছুই দেখার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। রাস্তাটি পৌরসভার ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। রাস্তাটির দুই দিকের জমি নিচু হওয়ায় অনেকে বর্ষাকালে এসব জমিতে মাছ চাষ করে। তবে আরসিসি ঢালাই দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করাসহ রাস্তাটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই রাস্তাটা দিয়ে চলাচলে মানুষের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।’

লালমনিরহাটের সাপটানা আবাসন-১ ও আবাসন-২ এর বসবাসকারী বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম ও মাসেম আলী বলেন, ‘কাঁদা পানিতে ভিজেই শিশুরা বিদ্যালয়ে যায়। দ্রুত রাস্তাটি মেরামতসহ আপাতত শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এডিবির বরাদ্দ পাওয়া গেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাপটানা আবাসন-১ ও আবাসন-২ চলাচলের রাস্তাটির ভাঙা অংশটি মেরামত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ দুইটি আবাসনে মোট ৩১০টি পরিবার বসবাস করেন।  

জুলাই ১৭, ২০১৭

মন্তব্য করুন: