• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

জীবন-যাপন

আলুর রস বাত সাড়ায়!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

 প্রকাশিত: ০৭:০২, ২৫ জুলাই ২০১৭

আলুর রস বাত সাড়ায়!

আলু খেলেই মোটা হওয়ার ভয় তো আছেই। তাছাড়া কাঁচা আলু কেটে ত্বকে লাগালে ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, চোখের তলার কালিও তুলে দেয়। এই গুণটা অনেকেরই জানা।

কিন্তু জানেন কি, আলুর জুস বা রস রোজ খেলে তা ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। আলুর জুসের ৭টি গুণের কথা জেনে রাখুন।

বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী:
জয়েন্টে ব্যথায় কষ্টে ভোগেন অনেকেই। ব্যথা মাঝেমধ্যে এতোটাই বেড়ে যায় যে রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। ওষুধ খেয়েও কোনও সুফল পাওয়া যায় না। যদি এমন সমস্যা আপনার হয়, তাহলে আলুর জুস খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এমনকি বাতের ব্যথা না হলেও, প্রতিদিন খালিপেটে আলুর জুস খেলে ভবিষ্যতে ব্যথায় কষ্ট পাবেন না।

হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচল বাড়ায়:
আমাদের শরীরে যতো সমস্যা হয়, তার অন্যতম কারণ রক্ত চলাচলে সমস্যা। পর্যাপ্ত রক্ত চলাচলের অভাবে কোষে অক্সিজেনের সাপ্লাই কমে যায়, ফলে এনার্জিও কমতে থাকে। এরই সঙ্গে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা। আলুর জুস এই সমস্যা দূর করে।

শরীরের পটাশিয়ামের ব্যালেন্স রক্ষা:
প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের শরীরের পটাশিয়ামের (pH) ব্যালেন্স নিজে থেকেই ঠিক থাকে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব, অবসাদ, দুশ্চিন্তার জেরে এর ব্যালেন্স নষ্ট হয়। যার জেরে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক মতো হয় না। মেটাবলিজমের অভাবেই বেশির ভাগ রোগ দানা বাঁধে। আলুর জুস পটাশিয়ামের ব্যালেন্স ঠিক রাখে।

জয়েন্টের ব্যথা কমায়:
অনেক সময় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে হাঁটু, ঘাড়সহ বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস আলুর জুস খেলে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে দেয় না। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয়।

গ্যাস্ট্রাইটিস কমায়:
কিছু একটা খেলেই অ্যাসিডিটি হয়। বুক জ্বালা করে। বদহজম হয়। এই সবই কমবে আলুর জুসে। প্রতিদিন দু'চামচ আলুর জুস খেয়ে দেখুন। আশাতীত ফল পাবেন।

কোলেস্টেরল কমায়:
অতি মাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা মেটায় আলুর জুস। রোজ খেতে পারলে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা একেবারে ঠিক থাকে।

কী ভাবে তৈরি করবেন?
প্রথমে কাঁচা আলু কেটে নিন চিপসের মতো করে। তারপর অল্প পানিতে দিয়ে মিক্সি চালিয়ে দিন। গন্ধটা খারাপ লাগলে, বিট, গাজরের রস বা আদার রস মেশাতে পারেন। সকালে উঠে খালি পেটে ছোট গ্লাসে একগ্লাস ও রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস খেয়ে নিন।

সতর্কতা:
আলুতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। তাই যদি আপনার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হয়, ডাক্তার যদি নিষেধ করে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে, তাহলে আলুর জুস এড়িয়ে যান। কিংবা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মন্তব্য করুন: