• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসি

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলার বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় ৩৫ জন আসামির মধ্যে ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ১২ জন পলাতক।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ আসামি হলেন, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র‌্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহি সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতদের পরিবার। তারা প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চান বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিতরা হলেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (১৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামানকে ১০ বছর করে এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে।

পলাতক আসামিরা হলেন, কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, নুর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান, ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

১৬ জানুয়ারি ২০১৭

মন্তব্য করুন: