• ঢাকা

  •  বুধবার, মে ৮, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

লালমনিরহাটের চরাঞ্চলে রবিশস্য আবাদে লাভের মুখ দেখছেন কৃষক

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

লালমনিরহাটের চরাঞ্চলে রবিশস্য আবাদে লাভের মুখ দেখছেন কৃষক

লালমনিরহাট: শীত মৌসুমে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার অসংখ্য নদীর চরাঞ্চলগুলো এখন জেগেছে। নদী ভাঙন এ জেলাবাসীর জন্য অভিশাপ হলেও নদীতে চর জেগে ওঠায় চরাঞ্চলের মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাচ্ছেন।

কৃষকরা চরাঞ্চলে শুরু করেছে বিভিন্ন ফসলের চাষ। এ জনপদের ৮৫ ভাগ মানুষই কৃষির উপর নিভরশীল। খড়া-বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে তারা বেঁচে থাকে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চরাঞ্চলের জমিগুলোতে একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা সম্ভব হয়েছে। সমতলে ইরি-বোরো চাষসহ বালিমাটিতে চাষ করা হচ্ছে নানা ধরনের রবিশস্য।

অন্যান্য এলাকাগুলোর মধ্যে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার চরাঞ্চলে দেখা গেছে, কৃষকদের সাফল্য। একরের পর একর জমিতে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফসল।

হাতীবান্ধা উপজেলার হলদীবাড়ী চরের আমজাদ হোসেন, সুধা বাবু, করিম মোল্লা বলেন, চরাঞ্চলে একই জমিতে একই সঙ্গে ৬/৭ প্রকার ফসল চাষে আমরা লাভবান হয়েছি। তারা জানান, তারা প্রথমে আঁখ চাষের জন্য জমি তৈরি করেন। পরে ওই জমিতে প্লট তৈরি করে লালশাক, পাট, কলমি শাক, আলু, রসুন চাষ করেন। এখন ভুট্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এসব সবজি রোপণের ১৫ দিন পর সারিবদ্ধভাবে বাদাম, মরিচ, ঢেঁড়স, পুইশাক ও ডাল বপন করেন। বপনের এক মাসের মধ্যে এসব শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করে তারা ভাল আয় করছেন বলে জানান।

চর ডাউয়াবী এলাকার মনজাত এবার প্রায় ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করে ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন। তিনি কলা ও ভুট্টা চাষ করে আরও অধিক মুনাফা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন।

একই এলাকার কৃষক পুত্র আল আমিন জানান, তাদের বাড়ির কেউ চাকরিজীবী না হলেও চারাঞ্চলের জমিতে কলা, শাক-সবজি, গম ও ভুট্টার আবাদেই তাদের পরিবারের মূল উৎস।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভুষন রায় জানান, চরাঞ্চলের জমি ভুট্টা, গম ও আঁখ চাষে উপযোগী হলেও কৃষকরা এসব জমিতে বাড়তি শাক-সবজি চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। এতে করে ভুট্টা ও আঁখের জমির পরিচর্যা বেড়ে গিয়ে এসব ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে।

জানুয়ারি ১৯, ২০১৭

মন্তব্য করুন: