• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

১০ কেজি আলুতে ১ কেজি চাল

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ০৮:১০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১০ কেজি আলুতে ১ কেজি চাল

লালমনিরহাট: লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করেও লোকসান গুনছেন লালমনিরহাটের আলু চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে কিছুটা দাম থাকলেও এখন প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকা কেজি দরে।

দেখা যাচ্ছে, কৃষকদের ১ কেজি চাল কিনতে ১০ কেজি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে হতাশ আলু চাষিরা।

চলতি বছর লালমনিরহাট জেলায় ৪ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও জেলায় আলুর চাষ হয়েছে ৬ হাজার হেক্টরও বেশি জমিতে।

বিশেষ করে ইরি-বোরো ধান উৎপাদনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রান্তিক চাষিরা কিছুটা বাধ্য হয়েই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আলু, রসুন, সরিষা, গম ও ভুট্টা চাষের অতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতিকেজি আলু ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। ক্রমান্বয়ে আলুর দাম কমতে কমতে ১৫-২০ টাকায় পৌঁছায়। এ দিকে গত এক সপ্তাহ থেকে দাম আরো কমে ৪-৫ টাকায় এসে পৌঁছেছে।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান জানান, তিনি এবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করে। উৎপাদনও হয়েছে বেশ ভাল। কিন্তু আলু হতে দেরি হওয়ায় তিনি এখন মহাবিপদে পড়েছে। বাজারে আলুর দাম না থাকায় না পারছে এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে, না পারছেন আলু মজুদ করতে।

আদিতমারী উপজেলার সাপটিবাড়ী এলাকার সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রতিকেজি আলু উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে ৮-৯ টাকা। অথচ সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৪-৫ টাকা দরে। প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় জানান, বিগত বছরের তুলনায় জেলায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকদের আলু চাষের উৎসাহ কমে যাবে।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭

মন্তব্য করুন: