ধর্ষিত প্রতিবন্ধীকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে বাধা!
লালমনিরহাট: ১২ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী ধর্ষিত হওয়ার পর তাকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে দেয়নি লম্পট ধর্ষকের লোকজন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধম মরুয়া কাশিয়াবাড়ি গ্রামে।
ধর্ষক সুরুজ্জামান চুনু ওই গ্রামের চাঁনদুল্লাহ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে চাচার বাড়িতে রেখে কাজ করতে বগুড়া যায় তার মা-বাবা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে লম্পট সুরুজ্জামান চানু প্রতিবেশী এই মেয়েটিকে বাড়ির পার্শ্বে তামাক ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষন করে। ওই সময় দুই মহিলা ধর্ষনের বিষয়টা দেখতে পেয়ে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তার চাচা দুপুরে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধর্ষক চানুর লোকজন পথিমধ্যে ভয় দেখিয়ে ফিরে দেয়। যে কারণে তারা এখন পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারেনি।
বিষয়টি লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আদিতমারী থানার এস আই নারায়ন চন্দ্র। তিনি জানান, ধর্ষিতার পরিবারকে অভিযোগ দিতে বললেও তারা থানায় আসেননি।
ওই এলাকার ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগম জানান, ঘটনাটি শুনে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো চেষ্টা করি কিন্তু ধর্ষক চানুর লোকজন যেতে দেয়নি। পরে তিনি বিষয়টি মৌখিক ভাবে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে শুনে চলে গেছে। শিশুটির মা-বাবা হরতালের কারণে বাড়িতে আসতে না পারায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি দাবী করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষিতা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মার্চ ৪, ২০১৭
মন্তব্য করুন: