• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

বাংলাদেশ

হাতীবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ১৩:১১, ৫ এপ্রিল ২০১৭

হাতীবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ( ০৫ এপ্রিল) সকালে ওই উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা কাছিমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন, মধ্যম কাদমা গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে মিল্টন হোসেন (২৪), ভেলাগুড়ি গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৮), আজিজার রহমানের ছেলে ফেরদৌস আলম (২৫) ও গোলাপ হোসেনের ছেলে উকিল হোসেন (২৬)।

এ ঘটনায় তদন্তে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই দিন আগে ওই এলাকায় ১১ কেভি’র একটি বিদ্যুৎতের তার মাটিতে পড়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ৭ শত টাকার বিনিময় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি মেরামত করতে স্থানীয় ৩ ইলেকট্রিশিয়ানকে ঠিক করে। প্রথমত তারা রাজি না হলে পরে ১২ শত টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি মেরামত করতে রাজি হয়। বুধবার সকালে হাতীবান্ধা আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎতের সঞ্চালন বন্ধ করে মেরামতের কাজ শুরু করেন তারা। কিন্তু মেরামতের কাজ শেষ না হতেই বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ওই লাইনটি পুনরায় চালু করলে মেরামতের কাজে কর্মরত স্থানীয় ৩ ইলেকট্রিশিয়ান ও ১ কলেজ ছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

ঘটনাস্থলেই কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মিল্টন হোসেন, খোরশেদ আলম, ফেরদৌস আলম মারা যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় উকিল হোসেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও  প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বিদ্যুৎস্পষ্টে ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকাবাসী এ ঘটনায় জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে দায়ী করছে। যে কারনে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

হাতীবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই সময় লাইনম্যানের দায়িত্ব ছিলেন মকছেদুর রহমান বাদশা, আব্দুল রাজ্জাক, নুর ইসলাম ও আদিব বাবু। তাদের সাথে কথা বলে লাইন সঞ্চালন বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা আমি নিশ্চিত না।

লালমনিরহাট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হাসনাত জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবিরকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এপ্রিল ০৫, ২০১৭

মন্তব্য করুন: