• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

বাংলাদেশ

কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্নভঙ্গ শিউলীর

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ১২:৫৫, ৬ মে ২০১৭

কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্নভঙ্গ শিউলীর

লালমনিরহাট: ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে মুরগির খামার গড়ে তোলেন শিউলী রানী রায়।  পরিকল্পনা অনুযায়ি খামারে তোলেন ৪ হাজার লেয়ার মুরগীর বাচ্চা। ওই বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ৫ মাস পরেই ডিম দিবে। সেই ডিম বিক্রি করে ঋণের কিস্তিসহ চলবে তার সংসারের চাকা। এই স্বপ্ন দেখছিল নারী উদ্যাক্তা শিউলী রানী রায়। শিউলীর সকালের সেই স্বপ্ন রাতেই কেড়ে নিলো কালবৈশাখী ঝড়।

শিউলী রানী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কচুমুড়া গ্রামের নিরঞ্জনের স্ত্রী।

সকালে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মের টিনের ছাউনীর ফাঁকে হাত লাগিয়ে জীবিত বাচ্চাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছিলো শিউলী ও নিরঞ্জন। কিন্তু পেলেন না। সব বাচ্চাই মারা গেছে কালবৈশাখীর ছোবলে।

শিউলী বলেন, 'বেকারত্বের অভিশাপ মোচনে নিজেকে স্বাবলম্বী করে সংসারের চাকা সচল করতে গত ৫ মাস আগে ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মটি গড়ে তুলি। প্রথমে মুরগির মাংস উৎপাদন করে ভাল মুনাফাও পেয়েছিলাম। মাংসের চেয়ে মুরগীর ডিমের চাহিদা বেশি হওয়ায় লেয়ার বাচ্চা পালনের সিদ্ধান্ত নিই। তাই ঋণের পরিমান বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় প্রায় ৪ হাজার লেয়ার মুরগীর বাচ্চা ক্রয় করি শুক্রবার সকালে। সারাদিন মুরগীর বাচ্চাগুলোকে খাইয়েছি পরম যত্নে। কিন্তু বিধিবাম রাতে কালবৈশাখীর ছোবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো আমার স্বপ্ন।

শিউলী রানী আরও বলেন, স্নাতক পাশ করেও বেকার থাকব তা হতে পারে না। তাই ঋণের টাকায় পল্ট্রি ফার্মটি গড়ে তুলি। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় আমাকে ঋনের বোঝা মাথায় দিয়ে গেল। এখন স্বপ্নটা বড় দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। ঋনের কিস্তি কি করে পরিশোধ হবে।

এলাকার কলেজ শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বলেন, শিউলী-নিরঞ্জন দম্পত্তি অনেক কষ্ট করে ফার্মটি দিয়েছে সংসারে চাকা সচল রাখতে। কিন্তু ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেছে।

২৮ এপ্রিল রাতের এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ  উপজেলার কয়েক হাজার ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অসংখ্য গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়ে।

মে ০৬, ২০১৭

মন্তব্য করুন: