লালমনিরহাটে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটায় স্ত্রী গ্রেফতার

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বিয়ের ৩ দিনের মাথায় নববধূ তার স্বামী নুর কুতুব সুজনের (২৩) পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় সুজনকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুরুষাঙ্গের রগ কেটে যাওয়ায় ২৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে সুজনের চাচা দুলাল মিয়া জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় নববধু আরফিনাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত রোববার (৯ জুলাই) পারিবারিক ভাবে আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর কুতুব সুজনের সাথে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আরফিনা আক্তারে বিয়ে হয়। ওই দিন রাতেই নববধু নিয়ে সুজন তার বাড়িতে চলে আসেন। তিন দিন পর বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রী মাঝে মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে নববধূ আরফিনা দা দিয়ে স্বামী সুজনের পুরুষাঙ্গে আঘাত করে। পরে সুজনের চিৎকারে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নববধূ আরফিনা আক্তার জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার কেটকিবাড়ি গ্রামের সহপাঠী রুবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি দইখাওয়া আদর্শ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী আর প্রেমিক রুবেলও একই কলেজের সহপাঠী। হঠাৎ করে তার বাবা বিয়ের আয়োজন করে। যে কারণে প্রেমের বিষয়টি তার পরিবারকে জানাতে পারেননি। বিয়ের দিন বিষয়টি প্রেমিক রুবেলকে মোবাইল ফোনে আরফিনা জানায়। রুবেলের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে নববধূ সেজে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার বিকালে তার স্বামী জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক করতে চাইলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরফিনা দা দিয়ে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করেন বলে জানান। এরপর আর কিছুই বলতে পারেন না আরফিনা।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় আহত সুজন মিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে নববধু আরফিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে থানা পুলিশ রাতেই নববধু আরফিনাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে  গ্রেফতার করে।

জুলাই ১৪, ২০১৭