হাত-চোখ বেঁধে দুই চোরাকারবারীকে বসিয়ে রাখা হলো ৯ ঘণ্টা!
যশোর: যশোরে দুই আসামিকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর বিরুদ্ধে।
এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে এ ধরণের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ৩০টি সোনার বারসহ এই দুইজনকে আটক করে বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
সম্প্রতি যশোরের শার্শা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বড় ধরণের কয়েকটি সোনা চোরাচালানের চেষ্টা রুখে দিয়েছে বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়ন। কিন্তু শনিবার সকালে উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকা থেকে আটক দুই সোনা চোরাকারবারির হাত ও চোখ বেঁধে নয় ঘণ্টা বসিয়ে রাখে বিজিবি। আর এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আটক দু’জন হলেন বাগআঁচড়া গ্রামের ইকবাল হোসেন ও ওমর ফারুক। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছেন, আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে এ ধরণের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।
নিয়ম অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেপ্তার করলে সাথে সাথে তাঁকে গ্রেপ্তারের কারণ জানানো ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনকে খবর এবং সে সাথে তাঁর পছন্দমত আইনজীবীকে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার কথা। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের পর পর থানায় সোপর্দ করে এফআইআর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে এক্ষেত্রে বিজিবি তা করেননি।
আটকৃকতদের হাত-পা-চোখ বাধা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট যশোরের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোস্তাফা হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, কেউ কোন অপরাধ করলে আদালতের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। কোন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের হেফাজতে রেখে কোন শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই।
এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সেলিম রেজা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, এরকম হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বিজিবি।-ডিবিসি
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
মন্তব্য করুন: