সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, সিরাজদিখানে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন
সিরাজদিখান: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিরাজদিখান সংবাদদাতা সামসুজ্জামান পনিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহার চেয়ে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে সিরাজদীখান প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ বাবুলের সভাপত্বিতে এবং সাধারন সম্পাদক জাবেদুর রহমান যোবায়েরের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গুয়াখোলা (নগর) জামে মসজিদ নামে শতবর্ষ আগের ৮ শতাংশ জমির উপর মসজিদ স্থাপিত হয় এবং মসজদিরে পাশেই মসজিদের ৯৩ শতাংশ ফসলি জমি রয়েছে। শতবর্ষের পুরানো এ মসজিদটির ইমামের বেতন, মসজিদের সংস্কার ও বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করা হয় ৯৩ শতাংশ জমির আয় দিয়ে।
দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিক সামছুজ্জামান পনির সেই মসজিদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই মসজিদেরে উপড় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে গুয়াখোলা গ্রামের ফরিদ সরকার ও তার ভাতিজা শাকিলুর রহমান ওরফে অপু সরকার, আতিকুর রহমান ওরফে বাবু সরকারের। তারা একজনকে জমির মালিক এবং একজনকে ভুয়া মোতয়াল্লী বানিয়ে ও আতিকুর রহমান সরকারকে বাদি বানিয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে মালিকানা দাবি করে মামলা করে। পরে মসজিদ কমিটি জানতে পেয়ে ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে যাহা এখনো চলমান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি সামসুজ্জামান পনিরের নেতৃত্বে গুয়াখোলা এলাকাবাসী ফরিদ সরকার গংদের বিরুদ্ধে গুয়াখোলা গ্রামে মানববন্ধও করে। ফরিদ সরকার বাদী হয়ে সামছুজ্জান পনিরকে ১নং আসামী করে ১৩ জনের নামে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালতে দ্বিতীয় মামলা করে। আর এই মামলার প্রতিবাদে সিরাজদীখান প্রেসক্লাব প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করে।
এলাকাবসী জানায়, ‘মামলার বাদি ফরিদ সরকার (৬২) আন্তঃডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং একাধিক বার সাজাভোগ ও করেছে।
এ বিষয়ে সামছুজ্জামান পনির বলেন, ‘মসজিদের জায়গা দখল ও বিক্রি করার সুবিধার্থে আমাকেসহ মসজিদ কমিটির ৮ জনের নামে সেইসাথে অজ্ঞাত আরও ৮ জনকে আসামী করে মামলা করে’।
প্রতিবাদ সভায় ও মানববন্ধনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি এমদাদুল হক পলাশ, সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ইত্তেফাক সংবাদদাতা নুরুল ইসলাম খোকনসহ সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় জনগন।
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
মন্তব্য করুন: