পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে দুপুর ২টার মধ্যে
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার রমজানের মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তাই কোনো খাবার দোকানে খোলা থাকবে না। রমজান চলমান থাকায় এবার ২টার মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এই এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে। রমনা বটমূলে প্রবেশে চেকপোস্ট থাকবে। চেক না করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনো যানবাহন এই এলাকায় চলবে না। রমনা এলাকায় ডগ স্কোয়াড সুইপিং করেছে, সন্ধ্যায় করা হবে এবং আগামীকালও করা হবে। নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে রমনার লেকের পানিতে।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এবার বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে। বর্ষ বরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। সেটি হলো- পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের দোকান। রমজানের কারণে এই আয়োজন থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, দুপুর ২টার মধ্যে। যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে মানুষ বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারে।
২০০১ সালে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই হামলাকে মাথা রেখে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। কোন রাস্তা দিয়ে কিভাবে নিয়ে যাবো সেটার জন্য আলাদা দল প্রস্তুত থাকবে। পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তাছাড়া, ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন। এ সময় ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি। কারণ এই এলাকায় খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে হলে চেকের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। পহেলা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচরণ করতে পারে।
অন্যদিকে বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ১টার পর প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এপ্রিল ১২, ২০২২
মন্তব্য করুন: