বৈদ্যুতিক রেলের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ, প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করার পর বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের টিকিট কিনে প্রথম যাত্রী হিসেবে ট্রেনটিতে ভ্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করেন।
দেশের প্রথম মেট্রোট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও আরো প্রায় ২০০ যাত্রীসহ দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে উত্তর উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেলের এই প্রথম যাত্রায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্পিকার, মন্ত্রী, সরকারি কমকর্তা, কূটনীতিক, স্কুলশিক্ষার্থী, জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ও অন্যান্যসহ প্রায় ২০০ লোক ভ্রমণ করেন।
তিনি সবুজ পতাকা নেড়ে উত্তর উত্তরা স্টেশন থেকে মেট্রোরেল যাত্রার সূচনা করেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে উত্তর উত্তরা স্টেশন থেকে টিকিট কিনেন। এরপর তার ছোট বোন শেখ রেহারা টিকিট কিনেন। পরে, তাঁরা দুজন স্টেশনের প্রবেশপথে তাঁদের টিকিট পাঞ্চ করেন।
উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি চারাগাছ রোপণ করেন।
নারী ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে মরিয়ম আফিজা প্রথম চালক হিসেবে মেট্রোট্রেনটি চালান।
প্রাথমিকভাবে, মেট্রোট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া ও সেখান থেকে যাত্রীদের নিয়ে আসতে ৩০টি ডবল ডেকার বাস পরিচালনা করবে।
ওগুলোর মধ্যে, ২০টি বাস আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও গুলিস্তান হয়ে মতিঝিল রুটে চলবে আর ১০টি বাস উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে দিয়াবাড়িতে উত্তরার উত্তর স্টেশন পর্যন্ত চলবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রো রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন অ্যাজেন্সি (জাইকা) মেট্রোরেলটি নির্মাণ করেছে এবং এই প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে এই এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: