• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

বাংলাদেশ

আইনশৃঙ্খলার গতি ভঙ্গ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ৩ মে ২০২৩

আইনশৃঙ্খলার গতি ভঙ্গ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি

কক্সবাজার: যদি কেউ আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

কক্সবাজারে দুই দিনের সরকারি সফরের শেষ বুধবার (৩ মে) সকালে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে  সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করছে। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আজ আমরা অফিসারদের সাথে বসেছি, তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি এবং আমাদের কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নত হবে। যে কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার ট্রলারে ১০ জেলের প্রাণহানির ঘটনায় আইজিপি বলেন, এ ঘটনা জানার সাথে সাথে আমি রেঞ্জ ডিআইজিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছি। সিআইডি এবং পিবিআই’র টিম পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামি ধরা পড়েছে এবং তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অপহরণের ঘটনা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, অপহরণের প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে আমাদের সফলতা রয়েছে। যারা অপহরণের ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

যেকোনো ঘটনা ঘটার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে পুলিশকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নিকটস্থ পুলিশ ইউনিট অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করুন, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, র‍্যাব সুন্দরবনকে জলদস্যমুক্ত করার জন্য কাজ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছি এবং আমাদের যথেষ্ট সফলতা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পূর্বে যে অবস্থানে ছিল তার থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করার ফলেই এ সফলতা এসেছে। তিনি সন্তান কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে মিশে সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে আইজিপি কক্সবাজারে এপিবিএন’এ কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন। পরে তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আইজিপি গতকাল সন্ধ্যায় ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন।

এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা আইজিপির সাথে ছিলেন।

মে ৩, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: