গাজীপুর সিটির মেয়র জায়েদা খাতুন

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনেরই সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ভোটের ফলাফলে তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকের জাকের পার্টির মোঃ রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকের গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মোঃ হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট পেয়েছেন।
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে সাধারণ গৃহিণী থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই আলোচনায় আসেন ৬১ বছর বয়সী জায়েদা খাতুন। ভোটের প্রচারে নিজেকে জাহাঙ্গীরের মা হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনে ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম যখন বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন জায়েদা খাতুনের ছেলে ও তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। বিজয়ের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মায়েদের জয় হয়েছে গাজীপুরের নির্বাচনে। এ সময় তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে নৌকা জিতছে আর ব্যক্তি হেরেছে। আওয়ামী লীগ এবং নৌকার বিরুদ্ধেও কখনো যাননি এবং যাবেনও না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই মূলত জাহাঙ্গীর তাঁর মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন। অবশ্য তিনি নিজেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে কার্যত আজমত উল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর। মায়ের পক্ষে দিনরাত প্রচার চালিয়েছেন তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০। ভোট পড়ার হার ৪৮ দশমিক ৭৫। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়।
মে ২৬, ২০২৩
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: