সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

দেশের আরো দুই সিটি করপোরেশন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। 

দুই সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ কমিশনের সদস্যরা।

সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, মহিলা ভোটার দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন - আওয়ামী লীগের মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মোঃ নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মোঃ জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল হানিফ, মোঃ ছালাহ উদ্দিন, মোঃ শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২৯৪ জন। ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এরমধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬ জন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তারা হলেন - আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার।

২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। একজন হিজড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী।

১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ইভিএম মেশিন রয়েছে ১ হাজার ৭৩০টি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।

জুন ২১, ২০২৩