• ঢাকা

  •  শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

বাংলাদেশ

শান্তি সমাবেশে বক্তারা / রাজনীতির খেলায় আ. লীগকে হারানো যাবে না

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৮ জুলাই ২০২৩

শান্তি সমাবেশে বক্তারা / রাজনীতির খেলায় আ. লীগকে হারানো যাবে না

ঢাকা: রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেছেন রাজনীতির খেলায় কখনোই আওয়ামী লীগকে হারানো যায় না।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। 

প্রথমেই ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গান পরিবেশন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার খেলা হবে দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে, তারেকের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভুয়া তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে। বিএনপির এক দফা নয়াপল্টনের কাদা পানিতে আটকে গেছে। তারেক লন্ডন থেকে নির্দেশ দিচ্ছে আর এখানে নেতাকর্মীরা লাফালাফি করছে। জনগণ শেখ হাসিনাকে গণভবনে বসিয়েছে জনগণ যতদিন চাইবে ততদিনই শেখ হাসিনা থাকবে।  

তিনি বলেন, তারেক রহমান প্রশাসনকে ধমক দিচ্ছে। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে জাতিসংঘের কাছে চিঠি লিখায়। যে নেতা মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায় সে নেতাই বিএনপি'র নেতা মির্জা ফখরুলের নেতা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি টাকার বাহাদুরি দেখাচ্ছে। আন্দোলনে টাকার অভাব হবে না। এত অহংকার ভালো নয়। কে বা কারা বিএনপির অর্থ যোগানদাতা সেটা আমরা জানি। চোখ রাঙ্গাবেন না, জনগণের চলার রাস্তা বন্ধ করলে বিএনপির চলার পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগ সংঘাতের জন্য সমাবেশ করছে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের জান মালের রক্ষায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে। বিএনপি যতই লাফালাফি করুক লাভ হবে না, রাজনীতির খেলায় কখনোই আওয়ামী লীগকে হারানো যায় না।

তিনি বলেন, তারেকের ধমকে ফখরুলের অবস্থা খারাপ হয়ে মঞ্চ থেকে পড়ে গেছে। বিএনপি আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে থাকবে না। আওয়ামী লীগ চুপ করে থাকলে বিএনপি সীমা ছাড়িয়ে যায়, আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়িয়ে দেবো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে। 

তিনি আরো বলেন, আপনারা লক্ষ করেছেন, বিএনপি-জামায়াতের যখনই মিটিং হয়, যখনই সমাবেশ করে, সমাবেশের দিন বা তার আগের দিন বিশেষ একটা রাষ্ট্রদূতের অফিসে বৈঠক করে। কেন? এর কারণ একটাই, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে।

তিনি বলেন, আমি বিদেশিদের বলবো, কাদের নিয়ে আপনারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান, যারা ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত খুন করেছে? আপনারা কাদের গণতন্ত্রের কথা বলেন, যে দলের জন্মই হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে? এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। যাদের নিয়ে আপনি (সেই রাষ্ট্রদূত) এই খেলা শুরু করেছেন, এই খেলা দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করতে দেবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, এখানে লাখো শান্তির সৈনিক সমবেত হয়েছে। আমাদের কর্মীরা শান্তি রক্ষা করতে এসেছে। আমরা শান্তি রক্ষা করবো।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশ তারুণ্যের সমাবেশ। বিএনপির এখন কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। 

তিনি আরো বলেন, আমরা শহীদ হবো, তার পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রি করতে দেবো না। যতই চক্রান্ত হোক, জবাব দেবো, চক্রান্ত টিকবে না।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দেবেন, সেই নির্দেশই আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীদের বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আজকে তো মাত্র শুরু হলো। আজকে আমরা লড়াই শুরু করেছি, এই লড়াই শেষ করবো। আবারো যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের চূর্ণ করে দেওয়া হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, 'আজকে এখানে যে সমাবেশ দেখছেন, এটা ট্রেলার মাত্র। সামনে আরো অনেক কিছু দেখবেন। পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত।' 

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, পল্টন কখনো জিততে পারে না, বায়তুল মোকাররমই জিতেছে। সামনের দিনেও জিতবে। আজকের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধ রয়েছে। এই ছাত্র যুব জনতা কখনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'হুঙ্কার অনেকেই দিচ্ছেন। রাজপথে পরাজয়ের কথা তারা ভুলে গেছেন। তিনি লুটপাটের যুবরাজ হতে পারেন। মনে রাখতে হবে - রাজপথের রাজা ছাত্রলীগ। এমন নেতা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, লুটপাটের যুবরাজ, এমন নেতা তিনি।'

আগামী দিনে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এ সময় ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রলীগ সভাপতি।

এর আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জুম্মার নামাজের পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বড় একটি মিছিল আসে। এ ছাড়া অন্যান্য সংসদ সদস্য, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন।

জুলাই ২৮, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: