• ঢাকা

  •  শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে: মোমেন

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ২০:৫০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে: মোমেন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জি-২০ লিডারস সামিটে’ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে জি-২০ এর ১৮তম বৈঠকে যোগ দিতে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। তিনটি সমঝোতা স্মারক হলো ‘কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা’, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই  দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে লেনদেনের সরলীকরণ’।

ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং সভাপতিত্বের এই মেয়াদে ভারত বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশকে জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। দেশগুলো হলো - বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মোমেন বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অনন্য সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেব এই সুযোগ পেয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। ভারত আয়োজিত ১৮তম জি-টোয়েন্টির সব বৈঠকেই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ও সুপারিশ উপস্থাপন করছে, যা আয়োজক দেশ ভারতসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রশংসা অর্জন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অবিশ্বাস্য গতি পেয়েছে যাকে সর্ম্পকের ‘সোনলী অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের স্বীকৃতি।

জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শুরুর পর ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর ওপর দুটি ভাষণ দেবেন। 

মোমেন বলেন, ‘ওয়ান আর্থ’ এবং ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরবেন। 

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।

একইদিনে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষদিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে অংশ নেবেন।

সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি ২০ নিউ দিল্লি নেতাদের ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হবে। মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের গভীর সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক হবে।

১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: