শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেলেন প্রধানমন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে তিনি এই টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এই টার্মিনাল বিশ্বমানের যাত্রীসেবা এবং নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষে দেশের বিমান চলাচল খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল প্রাঙ্গণে পৌঁছালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানান। একদল শিশু নৃত্যগীতের মাধ্যমে সরকার প্রধানকে স্বাগত জানায়। পরে টার্মিনালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এ সময় তাকে এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। তিনি তার লাগেজ চেকিংয়ের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন পাস করার একটি ড্রেস রিহার্সেলেও অংশ নেন এবং তাকে পরে বোর্ডিং পাসও দেওয়া হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মাসাহিরো কোমুরা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সাইতো তেতসু’ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং ক্যালিবারেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তৃতীয় টার্মিনালটি আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণভাবে চালু হবে।
তৃতীয় টার্মিনালের ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট আগামী বছরের মধ্যে চালু হবে এবং পরবর্তী ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ পরবর্তীতে স্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল। এতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। অবশিষ্ট জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (জাইকা) অর্থায়ন করেছে।
৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৃতীয় টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস থাকবে যেখানে হাউজিং ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন এবং ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক থাকবে।
৩য় টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। - বাসস
অক্টোবর ৭, ২০২৩
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: