• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার

ডেস্ক নিউজ

 আপডেট: ১০:৪৪, ৩১ আগস্ট ২০২৪

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে আজ শনিবার আলোচনায় বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

শনিবার (৩১ আগস্ট) সরকারপ্রধানের কার্যালয় যমুনায় হবে এ বৈঠক। 

বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই মতবিনিময় শুরু হবে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। 

টানা পাঁচ ঘণ্টা মতবিনিময় করা হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

১২ আগস্ট বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ যেসব দল ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিল, তাদের এবার ডাকা হয়নি। 

আমন্ত্রণ পায়নি গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং দলটির শরিকরা।

তবে প্রায় সব ইস্যুতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা) ডাক পেয়েছে। 

আবার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটও আমন্ত্রণ পায়নি।

চরমোনাইর পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি দলকে বিকেল সাড়ে ৩টায় এবং মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিশকে ডাকা হয়েছে বিকেল ৫টায়। 

একই সময় খেলাফতের অপর অংশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলকে ডাকা হয়েছে। 

১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে ডাকা হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫টায়। ১২ দলীয় জোটকে ডাকা হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়। 

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি এবং ড. কামাল হোসেনের গণফোরামও আমন্ত্রণ পেয়েছে। বাংলাদেশ জাসদকে ডাকা হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। 

বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবি তোলা বিএনপি জানিয়েছিল, পরবর্তী ভোটের রূপরেখা নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। 

এর পরপরই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানায়, শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন ড. ইউনূস।

২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কথা জানিয়েছিলেন। কবে নির্বাচন হবে, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন। 

শেখ হাসিনার পলায়নের পর ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছিল জাপা। তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরবর্তী সময়ে জাপাকে আর অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দেখা যায়নি।

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: