ময়মনসিংহে হাসিনাসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন

ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রেদোয়ান হাসান সাগর (২৪) হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১১ জনের নামে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জাহানের আদালতে মামলাটির আবেদন করা হয়।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ময়মনসিংহ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফা আনজুম পপি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র আইনজীবী নুরুল হক বলেন, সাগর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা, তা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, দেশব্যাপী গণহত্যার ন্যায় ময়মনসিংহে নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী সাগরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আশা করছি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে নির্দেশনা দেবেন।

মামলার বাদী আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে মোহিত উর রহমান শান্ত ও তার লোকজন সাগরকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর বিচার হতেই হবে। অন্য আসামিদের নির্দেশে ময়মনসিংহে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আদালতের কাছে আমরা আশাবাদী, সাগর হত্যার বিচার হবে।

গত ১৯ আগস্ট বিকেলে নগরীর মিন্টু কলেজ এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে রেদোয়ান হাসান সাগর।