• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

বাংলাদেশ

ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধুত্বের আহ্বান বিএনপির ৩ সংগঠনের

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ২০:৫০, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধুত্বের আহ্বান বিএনপির ৩ সংগঠনের

ছবি: সময়বিডি.কম

ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে শেষ হয় বিএনপি তিন অঙ্গ সংগঠনের ডাকা ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে লংমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে সেখানে এক সমাবেশে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতারা এ আহ্বান জানান। 

পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে লংমার্চের গাড়িবহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। 

এর আগে সকাল থেকে অন্তত ৮-১০টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আখাউড়ার দিকে আসতে থাকেন।

পরে দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন  অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল বুধবার এ লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে।

লংমার্চকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।

এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এস জিলানী।

প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদল সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

বক্তব্য রাখেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এদেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দেব।’

নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। এটি এটি অবমাননা। তারা প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্র নীতি কী হবে শেখায়। আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানির লাশ দেয় আর ফেনসিডিল দেয়।’

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনচেতা। তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে প্রভু নেই। তারা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়। সার্বভৌম প্রশ্নে এ দেশের মানুষ প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে রাজি।’

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: