জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ৩ বছর ডিপ্লোমায় ১ বছর!

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘অসাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা হলো- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা চার বছরের অনার্স কোর্সের তিন বছর অনার্স এবং এক বছর ডিপ্লোমা ও কারিগরি বিষয়ে পড়ালেখা করবে। এ ক্ষেত্রে তাদের দুটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এর একটি হলো অনার্স ও অন্যটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য আমাদের কারিগরি ও পলিটেকনিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।’
গতকাল রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) ও ইউনেসকো ঢাকা অফিস।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হইচই পড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও বহুমাত্রিক প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এআইয়ের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মৌলিক, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায়।’
চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের চিন্তাচেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালে ছাত্রছাত্রীরা বই পড়ে জ্ঞান অর্জন না করে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির ভূমিকা ন্যক্কারজনক। এসব কারণে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের।
এসবিডি/এবি
মন্তব্য করুন: