বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন

আব্দুল্লাহ আল নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যবরণ করেন।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় সকালেই বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকালে নাস্তার পর আব্দুল্লাহ আল নোমান কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান দেশের বাইরে থাকেন। তিনি দেশে ফিরলে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এই পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে (চট্টগ্রাম–৯) প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ আল নোমান।
১৯৯১ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। তিনি মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন।
গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন।
জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে।
এসবিডি/এবি
মন্তব্য করুন: